অস্টিওআর্থ্রাইটিস হলো এক ধরনের ডিজেনারেটিভ বোন ডিজিজ। এ রোগে আক্রান্তদের জয়েন্টে সমস্যা দেখা যায়, ভীষণ ব্যথা হয়, সাধারণ কাজকর্মে বেগ পেতে হয়।
আগে অস্টিওআর্থ্রাইটিস সাধারণত বয়সকালেই দেখা যেত। তবে এখন সেই বয়সের শেকলে আর এ সমস্যাকে বন্দি রাখা যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে কমবয়সীদের এ রোগ দেখা দিচ্ছে।
মানুষের দুটি হাড়কে ঘিরে থাকে একটি কার্টিলেজ। বয়সের সঙ্গে কার্টিলেজে নানা কারণে ক্ষয় ধরে। কার্টিলেজের এ ক্ষয়ের সমস্যাকেই বলে অস্টিওআর্থ্রাইটিস। হাত-পাসহ শরীরের নানা জায়গায় দেখা দিতে পারে এ সমস্যা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে বেশিরভাগ সময়ই এ রোগ ৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে দেখা দিত। তবে এখন আর সেই হিসাব চলছে না। বর্তমানে ৩৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সেও মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
কেন কম বয়সে এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসার জন্যই এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, ওবেসিটির মতো বিষয়গুলো সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ব্যায়াম না করায় কার্টিলেজ নিজের ক্ষমতা হারাতে থাকে। একটা সময়ের পর তা ক্ষয় হতেও শুরু করে দেয়। খাবারদাবারের ঠিক-ঠিকানা না থাকাও এর কারণ হতে পারে।
১. পরিশ্রম না করা।
২. দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা।
৩. নিয়মিত ওজন তোলা।
৪. ভুল বসার ভঙ্গি।
৫. ওজন বেশি থাকা।
৬. জয়েন্টে ব্যথা।
৭. জয়েন্টে ইনজুরি।
৮. ডায়াবেটিস।
৯. বাড়িতে কারও এই রোগ রয়েছে।
১০. হরমোনের সমস্যা।
রোগের লক্ষণ
১. শরীরের কোনো জয়েন্টে ব্যথা। নাড়াচাড়ায় সমস্যা।
২. অস্থিসন্ধি ফুলে যাওয়া।
৩. জয়েন্ট লাল হওয়া।
৪. জ্বর আসা।
শিশুদের মধ্যে সমস্যা
শুনলে অবাক হয়ে যাবেন এ সমস্যা দেখা দিতে পারে ছোট বয়সেও। আঘাতপ্রাপ্ত জায়গার ঠিকমতো চিকিৎসা না করলে ছোটদের মধ্যেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া ওবেসিটি ও জাঙ্ক ফুড খাওয়ায় কারণেও এ রোগের শঙ্কা বাড়ে। তাই সতর্ক থাকা ছাড়া উপায় নেই।
কী করতে পারেন?
এ রোগের চিকিৎসায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কিছু অত্যাধুনিক ইনজেকশন রয়েছে। তাতেও সমস্যা না গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সার্জারি করতে হতে পারে।