করোনা সংক্রমণ রোধে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামে বিভিন্ন বিধি ও সীমাবদ্ধতা ছিল। এই দীর্ঘ সময়কালে শিশুদের সেখানে প্রবেশে এক প্রকার নিয়ম করে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন সাত ও তার চেয়ে বেশি বয়সী সব শিশুকে পবিত্র দুই মসজিদ (মসজিদুল হারাম ও মসজিদ-ই-নববী) ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আরব নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই খবর পাওয়া গেছে।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রবেশের জন্য শিশুদের ‘তাওয়াক্কালনা’ অ্যাপের মাধ্যমে শারীরিক অবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
উল্লেখ্য যে, গত ৩০ ডিসেম্বর পবিত্র মসজিদুল হারামে আগত মুসল্লি ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বেঁধে দেওয়া হয় নানা নিয়ম। কাবা প্রাঙ্গণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পথনির্দেশক স্টিকার লাগানো হয়। পাশাপশি কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা, মাস্ক পরা, হাত ধৌত করা, জায়নামাজ নেওয়াসহ সব ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অনুসরণ বাধ্যতামূলক করা হয়। এছাড়াও জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রতিদিন ১০ বার ধোয়া হয় মসজিদ প্রাঙ্গণ।
এর আগে গত বছরের ১৭ অক্টোবর সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরাসহ করোনাবিষয়ক বিধি-নিষেধ শিথিল করে সৌদি আরব। তখন মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে আগের মতো মুসল্লিদের দিয়ে পুরোপুরি ধারণের অনুমোদন দেয় সৌদি সরকার।
ওমরাহ পালনের জন্য যে টিকা নিতে হবে
ওমরাহ পালনে আগ্রহীদের বাধ্যতামূলকভাবে সৌদি সরকার অনুমোদিত করোনার টিকা সমূহের যে কোন একটির উভয় ডোজ গ্রহণ সম্পন্ন করতে হবে। টিকাগুলো হলো- এক. ফাইজার বায়োন্টেক। দুই. মডার্না। তিন. অ্যাস্ট্রাজেনেকা। চার. জনসন অ্যান্ড জনসন।
এছাড়া যারা চীনের তৈরি টিকার উভয় ডোজ নিয়েছেন, ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে যেতে তাদের ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার বাড়তি বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে হবে।