গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কিউইদের দুর্দান্ত জয়ের পর আজ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ম্যান ইন গ্রিনরা। শুরুতেই ডাচদের বোলিং তোপে পড়লেও প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন মিডেল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা। শেষ দিকে পেসার বাস ডি লিডের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আশা জাগালেও বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেনি ডাচরা। হারিস রউফ ও হাসান আলীদের বোলিং তোপে মাত্র ২০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ফলে ৮১ রানের বড় জয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রার সূচনা করে বাবর আজমের দল।
২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা পায় নেদারল্যান্ডস। ওপেনার বিক্রমজীত সিং ও বাস ডি লিডের ব্যাটে ২ উইকেট হারিয়ে দলিয় ১০০ রান পূরণ করে ডাচরা। এই দুই ব্যাটারের তৃতীয় উইকেটের জুটি পাকিস্তানকে অস্বস্তিতে ফেললেও শেষ পর্যন্ত দলীয় বোলিং পারফরম্যান্সে স্কট এডওয়ার্সের আটকে দেয় পাকিস্তান।
মিডেল ওভারে পাকিস্তান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২০ রানে ২ উইকেট থেকে খেই হারিয়ে ২০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ডাচরা। বল হাতে চার উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে নেদারল্যান্ডসের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন বাস ডি লিড। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হারিস রউফ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ম্যান ইন গ্রিনদের। আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ফন বেকের শিকার হন ওপেনার ফখর জামান। ১৫ বলে ১২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।
এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্রিজে নেমে দলে হাল ধরার চেষ্টা করেন বাবর আজম। কিন্তু ইনিংসের নবম ওভারে কলিন আকারম্যানের শিকার হন ম্যান ইন গ্রিনদের অধিনায়ক। ১৮ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এরপর ক্রিজে নামেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এক প্রান্তে তিনি দাঁড়িয়ে থাকলেও আরেক ওপেনার ইমাম উল হক ডাচ পেসার ফন মিকেরেনের শিকার হন। দলীয় ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমত চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।
কিন্তু চাপ সামলে রেকর্ড পার্টনারশিপে ম্যাচের হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাউদ সাকিল। দুই মিডেল অর্ডার ব্যাটার মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১২০ রান স্কোর বোর্ডে যোগ করেন। ২৯তম ওভারে ৫২ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে আরিয়ান দত্তের শিকার হন সাকিল।
দলীয় ১৫৮ রানে চতুর্থ উইকেটের পতনের পর আবারো খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ১৫৮ রানে তিন উইকেট থেকে ১৮৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দ্রুত অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাবর আজমের দল। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে ম্যাচের হাল ধরেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজ। দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটার মিলে ৬৪ রানের জুটি গড়ে দলের লড়াইয়ের পুঁজির ভীত গড়ে দেন।
৪৪তম ওভারে পেসার বাস ডি লিডের জোড়া আঘাতে ২৫২ রানে ৬ উইকেট থেকে শাদাব খান ও হাসান আলীকে হারিয়ে দ্রুত অলআউট হওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে যায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে গুটিয়ে যায় বাবর আজমের দল। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাউদ সাকিল দুজনেই খেলেন সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৪টি উইকেট নেন বাস ডি লিড।