দুর্নীতি ও প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়ার অতীত রেকর্ড ভালো নয়। বিগত সময়গুলোতে জেলায় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাস ও প্রক্সিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ঘটেছে।
আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান। চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মো. খায়রুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, বিগত সময়গুলোতে জেলায় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রক্সিসহ নানা অনিয়ম ঘটেছে, যা আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি। জেলা পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে সেখানে ভয়াবহ দুর্নীতি হতে পারে। একটি কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল নিয়োগ পরীক্ষাটিতে জালিয়াতি করতে, দুর্নীতি করে নিজেদের আখের গোছাতে জেলা পর্যায়ে পরীক্ষাটি নেয়ার জন্য বেশ তৎপর হয়ে পড়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, এক কুচক্রী মহল যেকোনো মূল্যে নিয়োগ পরীক্ষাটি জেলা পর্যায়ে নিতে। এতে করে তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস বা কেন্দ্র দখল করে তাদের নির্ধারিত অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের পথ সুগম করতে চায়। সেই সঙ্গে তারা নিয়োগকে বিতর্কিত করে শিক্ষিত বেকার যুবকদের উস্কে দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে তৎপর। যদি কেন্দ্রীয়ভাবে শুধু ঢাকায় পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হলে অন্য সকল চাকরি পরীক্ষার মতো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাটিও কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, জেলা পর্যায়ে খাদ্য অধিদপ্তরের এক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীরা ৮০ নম্বরের মধ্যে ৭৫ পেয়েও তাদের ফলাফল আসেনি। যারা পরীক্ষা নিয়েছে তারা ফলাফল দেখায় নি। আবার সমাজসেবা অধিদপ্তদের এক পরীক্ষার আগের দিন রাতে প্রশ্নফঁাস হয়ে যায়। পরে ওই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তাছারা তারা পরীক্ষায় প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর দেখাতে চায় না।
প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাটি কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় এবং দুর্নীতি-অনিয়েমর উর্ধ্বে রেখে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিও জানান তারা।
এসময় নাফিসা আলম, সুবর্ণা রায় ও কামাল হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান চাকরীপ্রত্যাশীরা উপস্থিত ছিলেন।