টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজও হাতছাড়া হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সফরের শেষ ম্যাচ তাই বাংলাদেশের জন্য মান বাঁচানোর। আত্মবিশ্বাস তলানিতে থাকায় হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ কঠিনই হবে টাইগারদের। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে তৃতীয় ওয়ানডে শুরু আজ দুপুর সোয়া একটায়।
সিকান্দার রাজার এই বুনো উল্লাস টাইগারদের মর্যাদায় আঘাত হেনেছে সজোরে। গত দুই-চার বছরের যা কিছু অর্জন তাতে পানি ঢেলে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। হারারেতে সব হারিয়ে নি:স্ব তামিম-মুশফিকরা।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ সমতা আনার পর হেরেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের শক্তির জায়গা বলে পরিচিত ওয়ানডেতে সেই সুযোগও পায়নি তামিমের দল। ২-০ তে সিরিজ হাতছাড়ার পর এখন হোয়াইটওয়াশের চোখ রাঙানি।
সফরের শেষ ম্যাচে জয় পেলেও ‘শেষ ভাল যার সব ভাল তার’ প্রবাদটি ভুল প্রমান হবে। আর শেষটাও হার দিয়ে হলে পূরণ হবে ষোলকলা।দ্বিতীয় ওয়ানডের পরে কোচ ও অধিনায়কের বলা কথায় ছিল শুধু হতাশা। তবে অতীত ভুলে জয় নিয়ে দেশে ফিরতে মনোযোগ টাইগারদের।
বাংলাদেশের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড বলেন, আমরা এই দলের ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য নিয়ে কথা বলেছি। সিরিজ হেরেছি, কিন্তু আত্মবিশ্বাস নেওয়ার জন্য জিততে হবে। জিম্বাবুয়ে খুব ভালো খেলেছে। রাজা অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলেছে। চাকাভা দেখিয়েছে তার সামর্থ্য। ওরা আমাদের চাপে ফেলেছে। আমাদের কাছে এর কোনো উত্তর ছিল না। এটা ড্রেসিংরুমে বসে দেখা কঠিন। কারণ, আপনি কিছু করতে পারবেন না। সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ক্রিকেটারদের কাজ।
প্রথম ম্যাচে হার ও ইনজুরির রেশে পরিবর্তন ছিল দ্বিতীয় ওয়ানডের একাদশে। পরিবর্তন আসবে তৃতীয় ম্যাচেও। জরুরীভাবে এক ম্যাচের জন্য উড়িয়ে নিয়ে এবাদত ও নাঈম শেখকে বসিয়ে রাখার কথা নয়।
রিয়াদ-মুশফিকদের ব্যাটে রান থাকলেও তাদের স্বার্থপর অ্যাপ্রোচ চোখে লেগেছে সবার। এত অভিজ্ঞতা দিয়েও তারা বুঝতে পারেননি হারারের উইকেট ৩০০ নয় সাড়ে ৩৫০ রানের। কি লাভ প্রথম ম্যাচে মুশফিকের অপরাজিত ৫২ আর দ্বিতীয় ম্যাচে রিয়াদের ওই অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংসে? অন্যদিকে শান্ত-বিজয়দের অপরিপক্ক খেলা রঙিন পোষাকে বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে করছে ধুসর।
ফলে তৃতীয় ম্যাচে কে খেলবেন আর কে বাদ পড়বেন সে এক বড় ধাধা।
তারপরও ভাগ্য ভাল এই সিরিজ আইসিসি সুপার লিগের অংশ নয়। পরিস্থিতি সামলাতে জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করাটা বড্ড জরুরী। কে জানত নিজেদের ৪০০তম ওয়ানডেতে ওত টেনশন নিয়ে নামতে হবে টাইগারদের।