উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব পেয়েও ফির‍িয়ে দেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
logo
ঢাকা, শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব পেয়েও ফির‍িয়ে দেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক
আগস্ট ৯, ২০২৪ ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাত নয়টার পর বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি ১৬ সদস্যের মধ্যে ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার শপথের পর একসঙ্গে শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা। শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিকসহ সরকারি ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব পেয়েও তা ফির‍িয়ে দিয়েছেন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন তিনি। পোস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করে তিনি লেখেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হলো। আমি এই সরকারের সাফল্য কামনা করছি।

তিনি আরও লেখেন, সর্ব-প্রকার জুলুম, অরাজকতা, চাঁদাবাজি এবং অপশাসনের অবসান হোক, এদেশের সকল ধর্মের মানুষ ভালো ও নিরাপদ থাকুক, নতুন সরকারের কথায় ও কাজে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটুক—এই প্রত্যাশা তাদের প্রতি।

Ahmadullah

‘আলহামদুলিল্লাহ, আলেমদের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনিত হলেন সিনিয়র আলেম প্রিয় মানুষ ড. আ ফ ম খালেদ হোসেন। অভিনন্দন তাকে। মহান আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দিন এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন,’ যোগ করেন তিনি।

নিজের নাম প্রস্তাবের বিষয়ে এই আলেম লেখেন, আমার অযোগ্যতা সত্ত্বেও আপনারা অনেকে গত দু’দিন ধরে আমার নাম প্রস্তাব করেছেন এবং আমার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন; যার উপযুক্ত আমি ছিলাম না—তাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। মহান আল্লাহ আপনাদের ভালোবাসা ও সুধারণার উত্তম বিনিময় দান করুন।

তিনি আরও লেখেন, নতুন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তার কতটুকু তারা পূরণ করতে পারবে সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে দোয়া করি, প্রিয় মাতৃভূমি ভালো থাকুক। নিরাপদ থাকুক আমাদের জীবন, সম্পদ, দীন ও ঈমান।

পোস্টের মন্তব্যের ঘরে আহমাদুল্লাহ লেখেন, ছাত্রদের তরফ থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল। আমি বিনয়ের সাথে অনাগ্রহের কথা জানিয়ে দেই এবং কয়েকজন আলেমের নাম প্রস্তাব করি। শেষে ড. খালিদ হোসেনর কথা বলি এবং তাঁর নম্বর তাদেরকে দেই। দেশের প্রায় সব ঘরানার উলামাগণ তাকে সাপোর্ট করেন। আল্লাহ তাঁর কাজ যেন সহজ করে দেন, আমরা সবাই তাঁর জন্য দোয়া করি। প্রিয় ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনকে অভিনন্দন।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।