তালতলী উপজেলা বাংলাদেশের বরগুনা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। এটি এই জেলার সর্বশেষ উপজেলা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে ০৬/০৫/২০১০ তারিখে আমতলী উপজেলা ভেঙ্গে তালতলীকে উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
অবস্থান ও আয়তন
৩৩৩.৮৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলার পশ্চিমে বুড়িশ্বর নদী ও বরগুনা সদর উপজেলা, পূর্বে আন্ধারমানিক নদী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা, দক্ষিণে টেংরাগিরি বন ও বঙ্গোপসাগর এবং উত্তরে কচুপাত্রা ও পচাঁকোড়ালিয়া নদী ও আমতলী উপজেলা।
উপজেলা চেয়ারম্যানগনের তালিকা
- অধ্যক্ষ সামসুল আলম তালুকদার (১৯৮৫-৯০)
* আমতলী-তালতলী একত্রিত * উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তনের পর প্রথম
- সালাউদ্দিন তালুকদার (২০০৯-১৪)
* আমতলী-তালতলী একত্রিত
- মনিরুজ্জামান মিন্টু (২০১৪-১৯)
- রেজবি উল কবির (২০১৯-)
জনসংখ্যা উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী এখানকার লোকসংখ্যা ৮৮,০০৪ জন; যাদের ৪৩,৭০৭ জন পুরুষ ও ৪৪,২৯৭ জন মহিলা। এখানকার জনঘনত্ব ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৫৪১ জন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭,৭৮২ জন; যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৮,৫৩৮ জন ও মহিলা ভোটার ২৯,২৪৪ জন।
প্রশাসনিক এলাকা
তালতলী উপজেলায় বর্তমানে ৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম তালতলী থানার আওতাধীন।
- ইউনিয়নসমূহ:
- ১নং পঁচা কোড়ালিয়া
- ২নং ছোট বগি
- ৩নং কড়ইবাড়িয়া
- ৪নং শারিকখালী
- ৫নং বড় বগি
- ৬নং নিশানবাড়িয়া
- ৭নং সোনাকাটা
শিক্ষা
শিক্ষার হার ৫৫.৬৬%
- কলেজ – ২ টি;
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় – ০৯ টি;
- প্রাথমিক বিদ্যালয় – ৭০ টি;
- মাদরাসা – ১২টি।
স্বাস্থ্য
এখানে ২০ শয্যা বিশিষ্ট একটি সরকারী হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়াও ৩ টি বেসরকারী ক্লিনিকও আছে।
অর্থনীতি
- হাট-বাজার – ১৩ টি।
দর্শনীয় স্থানসমূহ
সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ায় তালতলী প্রাকৃতিকভাবেই সমৃদ্ধ। এখানে রয়েছেঃ সৃজিত বন, আশার চর, ফাতরার বন, শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত এবং পিকনিক স্পট, রাখাইন পল্লী ইকোপার্ক প্রভৃতি।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
প্রধানতঃ সড়ক পথ এবং নদী পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে।
বিবিধ
- আশ্রয়ণ প্রকল্প – ৫ টি;
- ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় – কেন্দ্র ৪৮ টি।