এবার পবিত্র মক্কাশরীফ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ইবি ছাত্রের!
logo
ঢাকা, শনিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার পবিত্র মক্কাশরীফ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ইবি ছাত্রের!

জেলা প্রতিনিধি | দৈনিক বিবর্তন
অক্টোবর ৩১, ২০২০ ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র জমজম কূপ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্র আব্দুল্লাহ আল হাদীর বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের পর এনিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তোপের মুখে পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্র। এর আগেও তিনি ফেইসবুকে এমন পোস্ট করে পরে তা বিতর্কের মুখে সরিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় আবদুল্লাহকে বহিষ্কারের দাবি করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বহিষ্কার না করা হলে আন্দোলনেরও হুমকি দেয়া হয়।

জানা গেছে, ফ্রান্সের ম্যাগাজিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যাঙ্গচিত্র ছাপানোয় সারাদেশের মুসলমানরা ফরাসি পণ্য বর্জনের দাবিতে যখন সোচ্চার। ঠিক তখনই পণ্য বর্জনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) নিজের ফেইসবুকের টাইমলাইনে পোস্ট করেন ওই শিক্ষার্থী। তিনি ঐ পোস্টে পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র জমজম কূপকে তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দেন। স্ট্যাটাসটি মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হলে তার সহপাঠীসহ অন্য শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে প্রতিবাদ শুরু করেন। এসময় তারা প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান।

জানা গেছে, আবদুল্লাহর নামে এর আগেও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বিভিন্ন পোস্ট ও বিরুপ মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে।

ইবির শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ, রাইসুল, ফখরুলসহ বেশ কয়েকজনের দাবি, মাঝে আরো একবার ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করায় প্রতিবাদের ঝড় উঠলে ওই ছাত্র তার আইডি ডিজেবল করে রাখে। এবার তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

এদিকে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে হাদী তার টাইমলাইন থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেন। এর আগেও তার বিভিন্ন পোস্টে বিতর্কের জন্ম দিলেই পোস্ট সরিয়ে নিতেন ওই শিক্ষার্থী।

বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাক মোক্তাদির মনোয়ার আলী বলেন, ‘আমরা বিভাগীয় ছাত্র উপদেষ্টা উপ-কমিটিকে খোঁজ নিতে বলেছি। বিভাগের জরুরী মিটিং কল করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, ‘আমি তার বিভাগের সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়েছি।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।