শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৬ রান, হাতে ৩ উইকেট। ইনিংসের ৪৭তম ওভারে আসিফ হাসান আউট হয়ে গেলে চাপে পড়ে ব্যাটিং দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। তবে সেই চাপ স্থায়ী হতে দেননি তারবীর হায়দার। ইনিংসের ৪৯তম ওভারে নিজের অর্ধশতক ছোঁয়ার পর শেষ ওভারে গিয়ে ৩ বল হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। রোমাঞ্চকর ম্যাচে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ২ উইকেটে হারায় রূপগঞ্জ।
রূপঞ্জের হয়ে বল হাতে দাপুটে পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরা হয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৮ ওভারে ১ মেডেনের সাহায্য মাত্র ৩৮ রান দিয়ে একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। সঙ্গে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন রূপগঞ্জের বিদেশি চিরাগ জানি। ৯ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে খেলেছেন ৭৮ বলে ৭২ রানে অনবদ্য এক ইনিংস। তানবীর হায়দার অপরাজিত ছিলেন ৬১ বলে ৫১ রানে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯৮ রানে গুটিয়ে যায় খেলাঘর। দলীয় ৩৮ রানে দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা (৩) আর হাসানুরজ্জামান (২৯) বিদায় নিলেও তিনে নেমে দলের হাল ধরেন আমিত মজুমদার। অমিত হাসানের সঙ্গে গড়েন ৪৪ রানের পার্টনারশিপ। অমিত হাসানকে ১৬ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন চিরাগ জানি।
এরপর অমিত মজুমদার ৮৮ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৫৯ রানে আউট হলে ধ্বস নামে খেলাঘর শিবিরে। ১৪৪ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটি ইনিংস শেষের ২ ওভার আগেই গুটিয়ে যায় ১৯৮ রানে। মাশরাফি ৪ আর চিরাগের ৩ উইকেটের সঙ্গে নাঈম ইসলাম, নাবিল সামাদ ও আল আমিন হোসেনের পকেটে গেছে একটি করে উইকেট।
১৯৯ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ১৫ রানের মধ্যে ইরফান শুক্কুর (০) ও সাব্বির হোসেনকে (৩) হারায় রূপগঞ্জ। এই ধাক্কা তারা কাটিয়ে ওঠে চিরাগের ব্যাটে। তৃতীয় উইকেটে নাঈম ইসলামের সঙ্গে ৯০ রানের জুটি গড়েন তিনি। টানা তৃতীয় ম্যাচে পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যান চিরাগ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৭৮ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৭২ রান করে সালমান হোসেন ইমনের শিকার হন।
২ উইকেটে ১০৫ রান করা রূপগঞ্জের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১১১ রান। চিরাগের পর দ্রুত ফিরে যান নাঈম। চলতি ডিপিএলে ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছোটানো এই ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন ২৪ রানে। সাব্বির রহমানের ব্যাট থামে ২ রানে। পরে রকিবুল হাসানকে সঙ্গে করে এই ধাক্কা সামাল দেন তানবীর। রকিবুলের (১৪) আউটে ৪৫ রানের এই জুটি ভাঙার পর মাশরাফি (১২) জয় থেকে ২১ রান দূরে থাকতে আউট হন।
শেষদিকে অর্থাৎ ইনিংসের ৪৮তম ওভারে ইলিয়াসকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানে উপুল থারাঙ্গার ক্যাচ হন আসিফ হাসান। তাতে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরেছিল। কিন্তু পরের ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরিতে শেষপর্যন্ত দলকে ২ উইকেটের জয় এনে দেন তানবীর। খেলাঘরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেন নেন সালমান হোসেন ইমন।