মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কথিত কোটিপতি বয়ফ্রেন্ডের ওপর অভিমান করে না ফেরার দেশে চলে গেছেন নাছিমা আক্তার নামে এক ছাত্রী। রেলের স্টাফ কোয়ার্টারে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে তিনি ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বয়ফ্রেন্ডকে দায়ি করে গেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে দাফনের জন্য লাশ তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আত্মহত্যার আগে নাছিমা তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটস দেন, এতে তিনি লিখেন আখলাকুল সাঈফের সাথে দীর্ঘ ৮ মাস তার প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর এখন সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। একটাই ইস্যু, তার মা আমার ফ্যামিলির লোকজনের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে। আমরা নিচু জাত তারা কোটিপতি এসব বলেছে। আমার ভাইয়ের বউকে অশালীন ভাষায় কথা বলেছে। তানমিনা, জুলফা, লিভা এদের সাথেও একই কাজ করেছে। সে আমার কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা নিয়েছে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে। এখন আমি এসব বলাতে সব অস্বীকার করে ফেসবুক আইডি, হোয়াটসএপ, ফোন নম্বর থেকে ব্লক করেছে।
এর আগে ৪৮ জনকে ট্যাগ করে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে নাছিমা আক্ষেপ করে লিখেন, এই মুখ নিয়ে আমি আমার ফ্যামিলিতে মুখ দেখাতে পারবো না। তাই আমি নিজের ইচ্ছায় সুইসাইড করছি। স্ট্যাটাসের শেষ প্যারায় নাছিমা আখলাকুল ইসলাম চৌধুরীকে ২ নং এবং তার মা সুরাইয়া চৌধুরীকে যথাক্রমে ১ নং আসামি হিসেবে উল্লেখ করেন।
নাছিমার ভাই জহির রায়হান জানান, আখলাকুল পরিবার থেকে প্রায়ই আমার বোনকে ফোনে আমাদের পরিবার সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলা হতো। আমার বোন এসব কথা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। আমি তাদের বিরোদ্ধে বোন হত্যার আভিযোগ করবো।
জানা গেছে, নাছিমা শ্রীমঙ্গল রেলষ্টেশনের অবসরপ্রাপ্ত টিটি আব্দুল হকের মেয়ে। গত সোমবার রাতে রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে নাছিমা আক্তার।