জেদ্দা পৌঁছেছে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রথম হজ ফ্লাইট। বাংলাদেশ বিমানের ডেডিকেটেড ফ্লাইটটিতে ৪১৯ জন মুসল্লি গেছেন; যাদের সবাই সরকারি ব্যবস্থাপনার হজ যাত্রী।
সৌদি আরবের পথে যাত্রার আগে মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন দায়িত্বশীলরা। তার জানান, হজের সামগ্রিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এবার রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় সৌদি অংশের ইমিগ্রেশনও হচ্ছে ঢাকায়। সব মিলিয়ে ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট হজযাত্রীরা।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে ৪১৯ জন মুসল্লি নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট বিজি-৩০০১। এর আগে যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও হজ সংশ্লিষ্টরা। সেখানেই সবাইকে নিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার কথা জানান তারা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, হজযাত্রীরা হচ্ছেন আল্লাহ তায়ালার মেহমান। তাদের সেবা করার জন্য আমাদের যতোটুকু ক্ষমতা আছে সেটি দিয়ে হজযাত্রীদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।
এ সময় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, এ বছর বিমান হজ পরিবহন কার্যক্রমে হাজীদের আরামদায়ক যাত্রা উপহার দেয়ার জন্য তাদের ৪টি অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৭৭ এয়ার এবং একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ব্যবহার করবে।
দীর্ঘ সময় ভ্রমণের পর, ইমিগ্রেশন জটিলতায় প্রতি বছরই বাড়তি ভোগান্তির অভিযোগ করেন মুসল্লিরা। যদিও সরকারি পদক্ষেপে এবার সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। গত কয়েক বছরে সামগ্রিক হজ ব্যবস্থাপনায় বেশ ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। সেই ধারা অব্যাহত রাখতে চায় এজেন্সি মালিকদের সংগঠন, হাব।
এদিকে, এবার দফায়-দফায় সময় বাড়ানোর পরও ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা পূরণ হয়নি।