বরগুনার তালতলী উপজেলার ৪নং শারিকখালী ইউনিয়নের একটি মাছের ঘেরের ভেড়ি কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা।এতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মাছ নিধন ও চারটি পরিবার নিঃস্ব হওয়ার পথে।
অভিযোগে জানা গেছে,ঘেরের ভেড়ি কেটে দেয়ায় অন্তত ২০ লাখ টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে।উপজেলার শারিকখালি ইউনিয়নের বাসিন্ধা মোঃ জাহাঙ্গীর পিয়াদা (৩৫) মোঃ কালাম পিয়াদা (৪৫),মোঃ কামাল গাজী(৪২) ও মোঃ মোসারাফ পিয়াদা (৪৫) চারজন মিলে মাছ চাষ করেন। বর্তমানে মাছগুলো বিক্রির উপযোগী না হওয়ায় তা বাজারজাত করাও সম্ভব হয়নি।কিছু কুচক্রী মহল ঘের কেটে দেয়ার কারনে মাছের পোনা ও বড় বড় মাছ বেরিয়ে যায়।এতে প্রায় ১২থেকে ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।
তারা বলেন বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণনিয়ে ঘেরে মাছ ফেলেছিলাম আমরা, এই মাছের বিক্রির টাকা দিয়েই ঋণের কিস্তি ও আমাদের সংসার চালাতে হয়। বর্তমানে ঘেরকেটে দেওয়ায় মাছগুলো বেরিয়ে গেছে। ঘেরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিল যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।
এ বিষয়ে স্থাণীয়দের সাথে কথা হলে তারা বলেন , নোনা পানি আটকে রেখে মাছ চাষ করায় আমাদের বীজতলা নষ্ট হয়, এবং ভিজ রোপন সময় মতো করতে না পারায় সমস্যা হয়। সরকারি খাল অবৈধভাবে দখল করা ছিল তাই আমরা কেটে দিয়েছি।
তালতলী উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ মাহাবুব আলম বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের খননের কাজ এসেছিল, স্থানীয়দের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকার কারণে বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওছার হোসেন,বলেন সরকারি খাল জনগণ উপক্রিত হবে তাই উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।