বরগুনার তালতলীতে বিভিন্ন ধরনের অপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য এর প্রতিবাদ করায় ২ ছাত্রলীগ কর্মী বেল্লাল ফারাবী ও তার ছোট ভাই মো.ফেরদৌসকে পিটিয়ে আহত করা অভিযোগ উঠেছে জামাল খান নামের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। আহত ঐ ছাত্রলীগ কর্মীদের আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার(০৪ জানুয়ারী) সন্ধা ৭ টার দিকে উপজেলার নিদ্রা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলায় ব্যাপি পারিবারিক হাউসহোল্ড সাইলো বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে খাদ্য বিভাগ। প্রতি ওয়ার্ড থেকে তালিকা করা হয় গত বছরের মাঝামাঝির দিকে। এই তালিকা থেকে ভুক্তভোগিদের মাঝে এসব হাউজহোল্ড বিতরন করেন উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজনু হাওলাদার। এ নিয়ে ঐ ইউপি সদস্যর নির্বাচন কালে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী ছিলেন জামাল খান। তিনি ইউপি সদস্য মজনু হাওলাদার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেন যে এই হাউজহোল্ডার আত্মসাৎ করেন। এই বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও অপ্রচারের প্রতিবাদ করেন স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী বেল্লাল ফারাবী ও তার ছোট ভাই মো.ফেরদৌস । পরে গতকাল সন্ধ্যার দিকে টার দিকে নিদ্রা বাজারে ঐ ছাত্রলীগ কর্মী ও তার ভাইর দোকানে গিয়ে পিটিয়ে আহত করেন সোহরাব খান ও তার ছেলে জামাল খানসহ ১০-১২ জন লোক। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজনু হাওলাদার বলেন, সরকারী ভাবে এই হাউজহোল্ডারের তালিকা ও বিতরন করা হয়েছে। আমি শুধু সাধারণ মানুষের বাড়িতে পৌছে দিয়েছি। এ নিয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জামাল খান মানুষের মাঝে অপ্রচার করে বেড়ান। এজন্য আমার দুই কর্মী ছাত্রলীগ নেতা প্রতিবাদ করলে তাদের পিটিয়ে আহত করেন।
এ বিষয় জামাল খান উল্টো অভিযোগ করে বলেন,আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে তারা হামলা চালিয়ে দোকান লুটপাট করে। আমার পকেটে থাকা চার লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ঐ ছাত্রলীগ কমীরা। আমরা বাঁধা দিলে আমি ও আমার দোকানের পিটিয়ে আহত করেছে।
এ বিষয় তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন,এ বিষয় আমরা লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।