পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোর সব অফিসে দুই ঘণ্টা অন্তর এক ঘণ্টা সেন্ট্রাল এসি চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে পানি ভবনের শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ºC এ রাখতে হবে।
এছাড়া সব অফিসে শতকরা ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (২০ জুলাই) রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলনকক্ষে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এ নির্দেশনা দেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।
এছাড়া সভায় ১৯টি সিদ্ধান্ত গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলো হলো: সেন্ট্রাল এসি এর থার্মোস্ট্যাটযুক্ত অংশের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নির্ধারণ করে থার্মোস্ট্যাট লক করা হয়েছে বিধায় তাপমাত্রা এর নিচে নামানো সম্ভব নয়। দুই ঘণ্টা অন্তর এক ঘণ্টা সেন্ট্রাল এসি চালু থাকবে। সেন্ট্রাল এসি এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণযোগ্য অংশের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে নামানো যাবে না। পানি ভবনের সবগুলো করিডোরের লাইট বন্ধ থাকবে। কক্ষগুলোর ডেস্ক এর ওপরে অবস্থিত লাইট ব্যতিত অন্য সব লাইট বন্ধ থাকবে। কক্ষ ত্যাগের সময় লাইট এবং এসি বন্ধ থাকবে। পানি ভবনের অভ্যন্তরস্থ সব গ্লাসডোর বন্ধ থাকবে। আলো প্রবেশের সুবিধার্থে গ্লাস ডোরে লাগানো ফ্রস্টেড পেপার খুলে স্বচ্ছ করতে হবে।
পানি ভবন ক্যাম্পাসের গার্ডেন লাইটগুলো বন্ধ থাকবে। পানি ভবনে তিনটি লিফট চালু থাকবে। বাকি সব লিফট বন্ধ থাকবে। আলো প্রবেশের সুবিধার্থে কক্ষগুলোর জানালার স্ক্রিন সরিয়ে রাখতে হবে। ইলেক্ট্রিক কেটলি, ওভেন ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। দিনের বেলায় সূর্যের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সকাল ৯টায় অফিসের কার্যক্রম শুরু করে বিকেল ৫টার মধ্যেই অফিস ত্যাগ করতে হবে।
এছাড়া ব্যক্তিগত কাজে অফিসের গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে একই গাড়িতে একাধিক কর্মকর্তাদের অফিস যাতায়াত উৎসাহিত করা হয়েছে। সাইট পরিদর্শনে একাকি গাড়ি ব্যবহার কমাতে হবে। প্রশিক্ষণ কোর্স সংখ্যা কমাতে হবে। মিটিংগুলো যথাসম্ভব অনলাইনে করতে হবে। ৭২ গ্রিন রোডস্থ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব ভবনে উপর্যুক্ত সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর থাকবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, মন্ত্রণালয় এর অতিরিক্ত সচিব সালমা জাফরিনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।