টান টান উত্তেজনা ও শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ বলের আগে জয় পেল পাকিস্তান। ১৮৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে জয়ের রেকর্ড গড়ল বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলটি। ৪ উইকেটের এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাবর আজমরা।
২০১২ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলংকার পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১৭৫ রানের টার্গেট তাড়া করে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান।
শনিবার জোহানেসবার্গের দ্য ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ৩৬ রানে দুই উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা তিন উইকেটে করে ১৫৯ রান। এরপর ১২ রানের ব্যবধানে হারায় তিন উইকেট।
দলের হয়ে ২৮ বলে দুই চার ও চার ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন অধিনায়ক হেনরি ক্লেসেন। ৩২ বলে আট চার ও এক ছক্কায় ৫১ রান করেন ওপেনার অ্যাইডেন মার্কওরাম। ২৪ বলে ৩৪ রান করেন বিলজোয়েন।
জয়ের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪.৫ ওভারে ৪১ রান করে ফেরেন অধিনায়ক বাবর আজম (১৪)। এরপর ফখরজামানকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৪৫ রানের জুটি গড়েন অন্য ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১৯ বলে ২৭ রান করে ফেরেন ফখর।
দলীয় ১১০ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন মোহাম্মদ হাফিজ (১৩)। তিন উইকেটে ১৩২ রান করা পাকিস্তান এরপর দুই বলে ২ উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায়।
তবে শুরু থেকেই দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে যান ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। শেষদিকে তাকে সঙ্গ দেন ফাহিম আশরাফ। ষষ্ঠ উইকেটে মাত্র ২৪ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন তারা। জয়ের জন্য শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। ২০তম ওভারের প্রথম বলে ডবল রান নিয়ে দ্বিতীয় বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ফাহিম আশরাফ। তার আগে মাত্র ১৪ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় করেন ৩০ রান।
তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় সহজ করেন নতুন ব্যাটসম্যান হাসান আলী। পরের বলে নেন ডাবল রান। জয়ের জন্য শেষ দুই বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। পঞ্চম বলে মিস ফিল্ডিংয়ের কারণে দুই রানের পর তৃতীয় রান নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হাসান আলী ও মোহাম্মদ রিজওয়ানরা।