বরগুনার তালতলীতে প্রথম স্বামী শাশুড়ি ও ননদকে যৌতুক মামলা দিয়ে জেল খাটিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন এক গৃহবধূ এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি জেল থেকে বেরিয়ে এমনই অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূর স্বামী জাহিদ হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম অঙ্কুজান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা,আবুল বাশার এর পুত্র জাহিদ হোসেনের সাথে দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় তাতিপাড়া গ্রামের সিরাজ গাজীর মেয়ে লামিয়ার সাথে। জাহিদের পরিবার সহজ সরল থাকায় নানা শ্বশুর আলীম, শ্বশুর সিরাজ গাজী, আর শাশুড়ি সালমা বেগম। ব্যবসার কথা বলে জামাই এর পরিবার থেকে ৪লাখ ৭৭ হাজার টাকা ধার নেন। সেই টাকা চাওয়ায় আজকাল পরশু দিব বলে ঘুরাতে থাকে। এরপর টাকা না দিয়ে আমতলী কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দিয়ে হয়রানি করে স্বামী শাশুড়ি ননদকে জেল খাটায়। এরই মধ্যে লামিয়া দের আত্মীয় লিটন হাসান ইব্রাহিম নামে আরেক ছেলের সাথে গোপনে বিবাহ দেন তার পরিবার।
এ বিষয়ে সরজমিনে গেলে, সাংবাদিকদের দেখেই নানা শ্বশুর আ.আলিম মিয়ার বাড়ি থেকে দৌড়ে পালায় লামিয়ার কথিত বর লিটন হাসান ইব্রাহিম। বর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন লামিয়ার মা সালমা বেগম
এরপর প্রতিবেশীদের তোপের মুখে পড়ে তিনি বলেন, লিটন হাসান ইব্রাহিম এর সাথে আমার মেয়ের বিবাহ হয়নি, বিয়ের কথা বার্তা হয়েছে। এখানের মামলা নিষ্পত্তি হলে তারপর লিটন হাসান ইব্রাহিমের সাথে বিবাহ দেওয়া হবে।
স্থানীয় চুন্নু মৃধা, মোসালেম, বাদশা মিয়া, দেলোয়ার,মালেক মৃধা মৃধা,জানান, লিটন হাসান ইব্রাহিম নামের ওই ছেলে লামিয়াকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায় একসাথে চলাফেরা করেন। লামিয়ার সাথে ওই ছেলের গোপনে বিবাহ হয়েছে। তারা আরো বলেন এভাবে একটি সমাজ চলতে পারে না। প্রথম স্বামীকে তালাক না দেওয়ায় বিষয়টা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।