বরগুনায়  কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্দি! খাবার পানি সংঙ্কট
logo
ঢাকা, রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরগুনায়  কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্দি! খাবার পানি সংঙ্কট

Link Copied!

বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নদীর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে আছেন। স্বল্প উচ্চতা ও ভাঙা বেড়িবাঁধই এ দুর্ভোগের কারণ বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। পাশাপাশি নদীর জোয়ারের লবন পানি কৃষি জমিতে ঢুকে নষ্ট হওয়ার শঙ্কা ফসল। এসব এলাকার মানুষ খাবার পানি সংঙ্কটে রয়েছে বলে জানা যায়।

বুধবার(২৬মে) সকাল ৮ দিকে উপকূলীয় নদ-নদীতে জোয়ার শুরু হয়ে চলে এক টানা দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এ সময় বরগুনার নদ-নদীতে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে কয়েক লাখ মানুষ। এতে আতঙ্কে রয়েছেন ঐসব এলাকার ভাঙন কবলিত বাসিন্দারা।

বেলা ১১ টার দিকে তালতলী উপজেলার নিদ্রারচর, খোট্টারচর, বড়অঙ্কুজানপাড়া, ছোটভাইজোড়া, তেতুলবাড়িয়া, নিশানবাড়িয়া, নলবুনিয়া বেড়িবাঁধ ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে বাড়িঘর,দোকানপাট,টিউবওয়লে প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই দুপুরের রান্না হয়নি। বেড়িবাঁধের বাহিরে ঘরবাড়িতে দেখা দিয়েছে খাবার পনি সংঙ্কট। লবন পানিতে দেখা দিতে পারেন পানিবাহিত রোগ। তীরের বাঁধের একটা অংশ ভেঙে নদীর লবন পানি ঢুকে বাড়ির আঙিনাসহ তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ। চাষিদের ফসলের চরম ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাহিরে থাকা একটি  সরকারী আবাসন এলাকা সম্পূর্ণ তলিয়ে গেলে ওখানকার মানুষদের সড়িয়ে আশ্রয়ন কেন্দ্রে নিচ্ছে সিপিপি সদস্যরা। পাশাপাশি স্থানীয়দেও নিরাপদে যাওয়ার জন্য চালানো হচ্ছে প্রচারনা।

সোনাকাটা এলাকার স্থানীয় বেলাল হোসেন ফারাবী বলেন, পূর্ণিমার জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রাভাবে এ এলাকার নিম্ন স্থানগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। পড়েছে খাবার পানির সংস্কর। শঙ্কা রয়েছে পানিবাহিত রোগের। এখানকার প্রায় ১০ থেকে ১২টি গ্রামের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে তাদের দুপুরের রান্না হয়নি। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।

ছোটভাইজোড়া আবাসন এলাকার মল্লিক মো. জামাল বলেন, জোয়ারের পানিতে এই এলাকা অনেক মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। টিউবওয়েল পানিতে ঢুবে যাওয়াতে পড়েছে খাবার পানি সংঙ্কট।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন বলেন,যারা পানি বন্দী রয়েছে তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব দ্রুত তাদের মাঝে এগুলো বিতারণ করা হবে। পাশাপাশি নিরাপদ পানির ব্যবস্থাও করা হবে। তিনি আরও বলেন,রাতের জন্য প্রতিটি আশ্রয়ন কেন্দ্রে খিচুরীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। দুর্যোগকালীন এবং পরবর্তী সময় চিকিৎসা সেবায় ৪৪ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী সহায়তার জন্য ইতোমধ্যেই জেলার ৪২টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভায় ১১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।এর বাহিরে রয়েছে শিশু খাদ্য ৬ লাখ ও গোখাদ্য ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ও ৩৫৭ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। আরও জানা যায় ৭ হাজার ৫’শ জন স্বেচ্ছাসেবী ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।