লিগ শেষে জাতীয় দলের ক্যাম্প মানে কোচদের ফুটবলারদের শুন্য ফিটনেস নিয়ে কাজ করা। তবে এবারের জাতীয় দলের ক্যাম্পে খানিকটা ভিন্নতা রয়েছে। প্রায় সব ফুটবলারের ফিটনেস রয়েছে সন্তোষজনক পর্যায়ে।
লিগ শেষ হয়েছে ২ আগস্ট। এরপর ২৫ দিন ফুটবলাররা খেলার বাইরে ছিলেন। খেলার বাইরে থাকলেও ফিটনেসের দিকে খেয়াল ছিল ফুটবলারদের, ‘আমরা সবাই চেষ্টা করেছি ফিটনেস ঠিক রাখতে। কারণ আমরা জানতাম সামনে জাতীয় দলের ম্যাচ রয়েছে’- বলেন জাতীয় দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।
আগে ফুটবলাররা নিজেদের ফিট রাখতেন না। সেই মানসিকতা এখন পরিবর্তন হয়েছে বললেন জিকো, ‘আগে লিগ শেষে আমরা ঘোরাঘুরি করতাম। ফিটনেসে তেমন খেয়াল রাখতাম না। এখন ছুটির মধ্যেও ট্রেডমিল, রানিং করে নিজেদের ফিট থাকার চেষ্টা করি।’
স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে গতকাল চলেছে দ্বিতীয় দিনের মতো অনুশীলন। প্রথম দুই দিনই কোচ ফিটনেসের উপর কাজ করেছেন বলে জানালেন ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা, ‘আমরা অনেক দিন খেলার বাইরে ছিলাম। তাই কোচ ফিটনেস নিয়ে কাজ শুরু করেছে।’ ফুটবলারদের ফিটনেসে কোচ সন্তুষ্ট বলে জানালেন বাদশা, ‘তিনি আমাদের ফিটনেস লেভেলে সন্তুষ্ট রয়েছেন।’
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ২২ ও ২৭ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়া এবং নেপালের বিপক্ষে দু’টি ম্যাচ খেলবে। সেই দুই ম্যাচে জেতার আশা ব্যক্ত করেছেন দুই ফুটবলার জিকো এবং বাদশা দুই জনই।