রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাসার ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ভবনের মালিকের ছেলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। নিহত তাজরিয়ান মোস্তফা মৌমিতা ভিকারুননিসা স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক ছাত্রী। শুক্রবার রাতে ৭ তলা ভবনের নিচ থেকে মৌমিতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, মৌমিতাকে কেউ ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়েছে। তাদের দাবি, অনেকদিন ধরেই মৌমিতাকে উত্যক্ত করে আসছিলো সাত তলা ভবনের মালিক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের ছেলে ও তার ছেলের বন্ধুরা।
জানা যায়, ধানমন্ডির কলাবাগানের গ্রীনরোডের ওই ভবনের চার তলায় থাকেন ব্যবসায়ী শামীম। তার মেয়ে মৌমিতা পড়ালেখা করতো মালয়শিয়ার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিবার নিয়ে সেখানেই বসবাস করতেন তারা। গত কোরবানি ঈদে দেশে এসে করোনার কারণে আর ফেরা হয়নি।
ওই ছাত্রীর বাবা শামীম বলেন, মাগরিবের আজানের আগে মেয়েকে মেসেজ দিলাম যে, তুমি কই? মেয়ে বললো আসতেছি, মাগরিবের নামাজের পরে খবর পেলাম আমার মেয়ে আর নেই। এ ঘটনার কয়েকদিন আগে ভবনের মালিকের ছেলে ফাইজার এবং তার বন্ধু আদনানের বিরুদ্ধে নিহত ছাত্রীর মাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেন তার বাবা শামীম।
তবে ছেলের বিরুদ্ধে নিহত ওই মেয়েকে উত্যক্ত করার অভিযোগ অস্বীকার করেন ভবন মালিক ও জবি ট্রেজারার কামালউদ্দীন। তিনি বলেন, ঘটনায় আমার ছেলে জড়িত নয়।
পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবন মালিকের ছেলের বন্ধু আদনানকে আটক করা হয়েছে।