ভুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে ওটি থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ
logo
ঢাকা, বুধবার, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে ওটি থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২ ৯:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বরগুনার তালতলীতে চুক্তির থেকে ২ হাজার টাকা বাকি রাখায় এক গর্ভবতী রোগীকে অজ্ঞান করার পরে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ ইসলামী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টায় ঔ গর্ভবতী নারী নিজেই এ অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধার দিকে তালতলী ইসলামী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে সেলিনা বেগম (৩৫) নামের এক গর্ভবতী নারী চিকিৎসার জন্য আসেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডা.নুসরাত জাহান ঔ গর্ভবতী মহিলাকে সিজারের পরামর্শ দেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিজারের জন্য ৩০ হাজার টাকা চায়। গর্ভবতী নারীর পরিবার গরীব হওয়ার কারণে সিজারের জন্য ১২ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়। নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হলে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গর্ভবতী নারীকে অজ্ঞান করার জন্য তিনটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। এতে সম্পূর্ণ অজ্ঞান না হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার মুহূর্তে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষের মাসুম ফরাজী সিজার করতে বাধা দেন। তিনি বলেন বাকি ২ হাজার টাকা না দিলে সিজার হবে না। পরে ওই নারীকে অজ্ঞান অবস্থায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের করে দিয়ে বলেন আপনারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিন। নগদ ১০ হাজার টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে বেসরকারী একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সিজার করান তারা।

তালতলী ইসলামী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে এমন অবহেলার কারণে সচেতন মহল তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন রোগিদের সাথে এমন আচরণ তাদের নতুন না। বিভিন্ন সময়ে রোগিদের ও তার পরিবারের সাথে অমানবিক আচরণ করে থাকেন। ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা নিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিচ্ছেন না। এই ঘটনার বিচার হওয়া দরকার। রোগিকে অজ্ঞান করে অপারেশন থিয়েটার থেকে ফেরত খুব খারাপ বিষয়।

এ বিষয়ে সেলিনা বেগম বলেন,আমাকে প্রথমে তিনটা ইনজেকশন দেওয়া হলে আমি কিছুটা অজ্ঞান হই। পুরোপুরি হইনি। দুই হাজার টাকা বাকি থাকায় আমাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমার জমা দেওয়া ১০ হাজার টাকাও ফেরত দেয়নি তারা। আমি বরিশাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তালতলীতে আসি। আমি বিচার চেয়ে থানায় ও ইউএনও’র কাছে অভিযোগ লিখেছি। আজকের জমা দিবো।

এবিষয়ে ইসলামী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের মালিক পক্ষের মাসুফ ফরাজী সাংবাদিকদের জানান আমি কোনো বক্তব্য দিবো না।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন,এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ কাওছার হোসেন,এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কিছু বলেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।