মোংলায় ৭ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে । বৃহস্পতিবার(৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার চাদপাই ইউনিয়নের মাকরঢোন সেচবুনিয়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় জোর পূর্বক ধর্ষণ করে মুসা খান নামের এক যুবক।
ধর্ষক মুসাকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। ধর্ষক মুসা (২০) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় মাছুয়া এলাকার আঃ হাকিম খানের ছেলে।
নির্যাতনের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়ী থেকে আত্মীয়ের বাড়ী যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে ডেকে নেয় মুসা খান নামের এক যুবক। এ সময় এক ব্যক্তির বসতঘরে কেউ না থাকার সুবাধে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে মুসা খাঁন। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ও তার পরিবারের লোকজন ছুটে এসে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার শারিরীক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনার পর পরই মুসা এলাকা থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় বলেও জানায় স্থানীয়রা। ঘটনার পরেই ধর্ষক মুসাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযানে নামে মোংলা থানা পুলিশ। ধর্ষক মুসা পালিয়ে মঠবাড়িয়া তার নিজ বাড়ী যাওয়ার পথে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এব্যাপারে মোংলা থানায় পিতা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র মেডিকেল অফিসার ডাঃ আফসানা নাঈম হাসান বলেন, ওই স্কুল ছাত্রীর শারিরীক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য খুলনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম বলেন, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং ধর্ষক মুসাকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলেও জানায় থানার এ কর্মকর্তা।
দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।