যশোরে চলতি বছরের ৮ মাসে ১৯ জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৫৭ জন। যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে জেলার ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য উপস্থাপন করে ব্র্যাক।
রোববার জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) যশোর জেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথি যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, ফুসফুসে যক্ষ্মায় আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা জীবাণুমুক্ত ব্যক্তি যদি বিনা চিকিৎসায় থাকে, তবে তিনি বছরে প্রায় ১০ জন লোককে সংক্রমিত করেন। তাই প্রতিটি যক্ষ্মা রোগীর দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্পন্ন করার বিকল্প নেই। এজন্য তিনি বিনামূল্যে পরীক্ষা ও যক্ষ্মারোগ নির্ণয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান।
প্রেসক্লাব যশোরের হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নাটাবের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টিবি ক্লিনিকের কনসালটেন্ট পলাশ কুমার দাস, নাটাবের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান ও ব্র্যাকের জেলা ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম ও জেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নাটাবের ফিল্ড লেভেল স্টাফ জাহাঙ্গীর আলম। মতবিনিময় সভায় যশোরে ৩২ জন ইমাম অংশ নেন। সভা থেকে তাদের মাধ্যমে আশাপাশের কারো ২ সপ্তাহের বেশি কাশি, সন্ধ্যায় জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং খাবারে অরুচি হলে কফ পরীক্ষা করতে উৎসাহিত করা হয়।