শরীয়তপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৭ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে পাঁচজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনজন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন দুজন। এ সময়ের পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ। জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজর ৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৫৭ জন।
শরীয়তপুর জেলা সিভিল সার্জনের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বলছে জুলাই মাসে শরীয়তপুরে করোনার সংক্রমণ ছিল বেশি। গত এক মাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৮১ জন। আর মারা গেছেন ২৮ জন।
শরীয়তপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত ২৯৬ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করলে ১৪৭ ব্যক্তির দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। যা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার প্রায় ৪৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজন মারা গেছেন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও দুজন। মৃত ব্যক্তিদের বাড়ি নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায়। এ নিয়ে জেলায় মারা গেছেন ৫৭ জন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজর ৪৩ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বলছে জুলাই মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত শরীয়তপুরে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন দুই হাজার ৩৪৫ জন। এক মাস পর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজর ৮৯৬ জনে। ৩০ জুন পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ২৯ জন। ১ মাসের ব্যবধানে এখন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। জেলায় এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৭৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই মাসেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ছয় হাজার ৭০ জনের।
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ২০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়। জুলাইতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে আর ৬০ শয্যা বাড়ানো হয়। এ ছাড়া নড়িয়ায় ১৮ শয্যা, জাজিরায় ১০ শয্যা, ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা ও গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ শয্যা করে করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন এসএম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুলাইয়ের শুরু থেকেই শরীয়তপুরে করোনার সংক্রমণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আগস্ট মাসেও আক্রান্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের সচেতনতার অভাব ও সময় মত রোগীকে হাসপাতালে না আনায় মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং টিকা নিতে হবে।