রাজধানীর বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ ১০ এর মাঝেই রয়েছে। ১০৩ স্কোর নিয়ে আজ ঢাকার অবস্থান তালিকার ১০ নম্বরে। বায়ুর এই মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক এই তথ্য জানিয়েছে।
আইকিউএয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে ১৯৮ স্কোর নিয়ে অবস্থান করছে পাকিস্তানের লাহোর। পাশাপাশি দ্বিতীয় অবস্থানে ১৬৭ স্কোর নিয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের পর শীর্ষ তিনে ১৬৪ স্কোর নিয়ে আছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিল্লি। এছাড়া ১৫৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষ চারে ইতালির মিলানের পর পাঁচ নম্বরে ১৪৮ স্কোর নিয়ে অবস্থান করছে মালয়েশিয়ার কুচিং।
এদিকে, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষ ছয়ে ২৬ স্কোর নিয়ে আছে চীনের বেইজিং। পাশাপাশি ১১৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষ সাত নম্বরে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং ১১২ স্কোর নিয়ে আট নম্বরে অবস্থান করছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। এছাড়া নয় নম্বরে ১০৫ স্কোর নিয়ে কুয়েতের কুয়েত সিটি এবং শীর্ষ ১০ আছে রাজধানী ঢাকা, স্কোর ১০৩।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। সেই সঙ্গে তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা ভালো থাকে।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন ধুলো। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।