লাইভে এসে আত্মহত্যার হুমকি চিত্রনায়িকা তমা মির্জার!
logo
ঢাকা, সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাইভে এসে আত্মহত্যার হুমকি চিত্রনায়িকা তমা মির্জার!

বিনোদন ডেস্ক | দৈনিক বিবর্তন
ডিসেম্বর ৩০, ২০২০ ৪:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চিত্রনায়িকা তমা মির্জা এবার লাইভে এসে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। এরজন্য তার স্বামী হিশাম চিশতি দায়ি থাকবেন বলে উল্লেখ করেন। স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগ এনে চিত্রনায়িকা তমা মির্জা লাইভে এমন মন্তব্য করেছেন।

জানা গেছে, কিছুদিনের চেনাজানার পর ২০১৯ সালের ৭ মে ধুমধাম করে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী হিশাম চিশতিকে বিয়ে করেন তমা। তারা হানিমুনে যান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। দেশে ফেরার পরপরই তাদের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়।

সম্প্রতি তারা দুই জন পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন। গত ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় করা মামলায় তমা অভিযোগ করেছেন নারী নির্যাতন ও যৌতুক দাবির। মামলায় হিশামের বিরুদ্ধে ‘সাইবার ক্রাইমের’ অভিযোগও করেছেন তমা। পরদিন ৭ ডিসেম্বর একই থানায় করা মামলায় তমা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন তার স্বামী হিশাম।

পাল্টাপাল্টি এ মামলার পর পরিচিতদের নানা ধরনের প্রশ্নের মুখে ২৬ ডিসেম্বর ফেসবুক লাইভে আসেন তমা। সেখানে তিনি হিশাম চিশতির সঙ্গে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন।

তমা জানিয়েছেন, বিয়ের পাঁচ থেকে ছয় মাসের মাথায় তিনি ডিভোর্সের আবেদন করেন। কিন্তু হিশামের মায়ের অনুরোধে তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তমার অভিযোগ, হিশাম তাকে মারধর করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন এবং ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। তাকে ২০ লাখ টাকা ধার দিয়েছেন বলেও মিথ্যা ছড়িয়েছেন হিশাম। ‘যদি তিনি আমাকে টাকা দিয়েই থাকেন, তবে তার কোনো মানি রিসিট বা অ্যাকাউন্টের প্রমাণ আমাকে দেখানো হোক।’ তমার অভিযোগ, হিশাম কানাডায় ট্যাক্সের টাকা দিতে পারছিলেন না। সে টাকা তিনি তাকে দিতে বলেন। অস্বীকৃতি জানালে মারধর করা হয়। পারিবারিকভাবে বিয়েবিচ্ছেদের কথা হয় দাবি করে তমা বলেছেন, ‘তালাকের আগের দিন হিশাম রাত তিনটায় আমাদের বাসায় আসে। ‘বাসায় এসে সে নোংরাভাবে আমার সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। আমার ফোন নিয়ে যায়। ফোনের পাসওয়ার্ড বদলে দিয়ে হুমকি দেয়- আমি সেজে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিবে। আমি তাকে বসিয়ে বলি কী হয়েছে? তার পকেটে ৩০-৪০টা ঘুমের ওষুধ, মদের গন্ধ। তার সঙ্গে তার দারোয়ান ছিল।’

সে সময়কার পরিস্থিতি তুলে ধরে তমা আরও বলেন, ‘আমি তাকে গিয়ে বললাম এখন যে কোনো একটা দুর্ঘটনা হতে পারে, তুমি কাউকে ডাকো। সে বলল, সে তার ফোন আনেনি এবং চলে যেতে চাইছিল। কিন্তু আমি তাকে বলি, তুমি যদি চলে যাও- এমন অবস্থায় যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তবে তার দায়ভার কে নেবে?

‘এরপর আমি ৯৯৯ এ ফোন করে ইমার্জেন্সি পুলিশ ডাকি। তারা আসার পরে চিশতিকে বাইরে বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো ওয়ারেন্টি ছাড়া পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে না। তখন পুলিশ আমাকে বলে- আমি যেন থানায় মামলা করি, তাহলে তারা চিশতিকে নিয়ে যেতে পারবে।’

সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিয়ে তমা আরও বলেন, ‘চিশতিকে আবার জিজ্ঞেস করা হয় সে বের হবে কি না? সে না বলে আমার ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। এরপর আমি আমার বাবা-মা পুলিশসহ থানায় যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হই।

‘তিন থেকে চার জন পুলিশ ছিলেন। তারা লিফট দিয়ে নেমে গেলেন। আমার ভাই ও ড্রাইভার সিড়ি দিয়ে নেমে যান। আমি, আমার মা ও বাবা লিফটের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। এমন সময় চিশতি ঘর থেকে বের হয়ে আমাকে বলে আমি তাকে পুলিশের ভয় দেখালাম কেন? এই বলে সে আমার মা-বাবার সামনে আমাকে মারতে থাকে। আমার মা-বাবা যখন থামাতে আসে তখন তাদের গায়েও হাত তোলে।’

ফেসবুক লাইভে তমা বলেন, ‘মানুষ বলবে স্বামী বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করা স্ত্রীর দায়িত্ব। কিন্তু আমি কেন একজন মানুষকে সাহায্য করব, যে নেশা করে পড়ে থাকে, আমাকে অত্যাচার করে, আমার নামে নোংরা কথা বলে, আমার বাবা-মায়ের গায়ে হাত তোলে।’

হিশাম চিশতি ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন অভিযোগ করে তমা বলেন, ‘চিশতি আমার কিছু ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে যে সেগুলো তিনি প্রকাশ করে দিবেন। সে কথার ফোন রেকর্ড আমার কাছে আছে। ‘এমন কোনো ঘটনা যদি ঘটে বা আমাকে যদি কোনো বিপদে ফেলা হয়, তার কারণে যদি আমি আত্মহত্যা করি, তবে তার জন্য হিশাম চিশতি ও তার পরিবার দায়ী থাকবে।’

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।