রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েজ র (ইবি) প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণের অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র ফেডারেশন। বুধবার দুপুরে সংগঠনের রাবি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফুল আলম সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একটি সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান। যা জনগনের টাকায় চলে। সেখানে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রবেশের অধিকার রয়েছে। দেশের যেকোন প্রান্তের কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পদচারণার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে গেলে তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং তুই-তুকারি করে শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয় ইবি প্রক্টর। ইবি প্রোক্টরের এমন আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
বিবৃতি আরও বলা হয়, রাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইবি প্রক্টরের এমন আচরণ দ্বারা শুধু রাবি শিক্ষার্থীকেই নয় বরং সারাদেশের ছাত্রসমাজকে অপমান করা হয়েছে। ছাত্র ফেডারেশন রাবি শাখা ইবি প্রক্টরের এই স্বৈরাচারী আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, ইবি প্রোক্টর তার আচরণের জন্য ছাত্রসমাজের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবেন। অন্যথায় সারাদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাবির কয়েকজন শিক্ষার্থী ইবি ক্যাম্পাসে ঘুরতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগী ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী চঞ্চল আহমেদ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার পর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা।