বরগুনার তালতলীর নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট চুরির করে ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে ঐ সাধারণ দুইটি ওয়ার্ডের চার ও একটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থীরা মানববন্ধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার(০৬জুন) বেলা ১২ টার দিকে তাঁতিপাড়া এলাকায় চার প্রার্থী ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন করেন। এসময় দুইটি ওয়ার্ডের প্রায় ৭ শতাধিক লোক মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে শাকিল খান কে ৪ নং ও জসিম উদ্দিকে ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ৪ নং ওয়ার্ডে বর্তমান ইউপি সদস্য ইব্রাহিম বিশ্বাস ও পনু মৃধার সাথে জয়-পরাজয় হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শাকিল খান নির্বাচনে তেমন কোনো প্রচার প্রচারণা না করেই জয়ী হয়েছেন। পরে জানা যায় আমাদের গ্রামের শহিদুল ইসলাম ঢাকা নির্বাচন অফিসের চাকুরী করেন। সেই সুবাধে নির্বাচনের ডিউটিতে এলাকায় আসেন। দুইটি কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএম নষ্ট হয়েছে বলে ঠিক করার নামে এই শাকিল খানের থেকে টাকা নিয়ে ইউপি সদস্য হিসেবে জয়ী করে দেন। এছাড়াও ঐ ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেন তিনিও প্রচার প্রচারণা না চালিয়ে শহিদুল ইসলামের সাথে দুই লাখ টাকার চুক্তিবদ্ধ হয়। এই চুক্তির ১ লাখ টাকা শহিদুলের কাছে জমা দেয়। বাকি টাকা জয়ী হতে পারলে দেওয়ার কথা ছিলো। তবে শাকিলখানের থেকে আরও বেশি টাকা নিয়ে জয়ী করে দেওয়ার অভিযোগ করেন। এছাড়াও ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রুনা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা চাওয়া হয় তাকে জয়ী করার জন্য। তিনিও মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
এদিকে ৫ নং ওয়ার্ডে বর্তমান ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা, ইসমাইল বিশ্বাস ও জসিম উদ্দিন প্রার্থী ছিলেন। প্রচারে তিন জনই এগিয়ে ছিলেন। জয়-পরাজয় খুব একটা ব্যবধান হবে না বলে ধারনা ছিলো। ঐ শহিদুল ইসলাম টাকা নিয়ে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট চুরি করে জসিম উদ্দিনকে বিপুল ভোটের ইউপি সদস্য হিসেবে জয়ী করা হয় বলে জানান তারা।
<span;>মানববন্ধনে ৪ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য প্রার্থী ইব্রাহিম বিশ্বাস,পনু মৃধা, দেলোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচনে ইভিএমের দায়িত্বে থাকা শহিদুল ইসলাম ভোট চুরি করে শাকিল খানকে জয়ী করেছেন। যেখানে প্রচারে শাকিলের নামও ছিলো না। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
৫ নং ওয়ার্ডের পরাজিত দুই প্রার্থী গোলাম মোস্তফা, ইসমাইল বিশ্বাস বলেন, আমাদের থেকে শহিদুল ইসলাম টাকা চেয়েছিলো। কিন্তু আমরা দেই নাই। এজন্য আমাদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএমে ভোট চুরি করে জসিমকে জয়ী করা হয়। আমাদের দাবি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এবিষয়ে সোনাকাটা ও নিশানবাড়িয়া রিটানিং কর্মকর্তা শাহদাৎ হোসেন বলেন, ইভিএমে ভোট চুরি করার কোনো সুযোগ নেই। এবিষয়ে যদি প্রার্থীদের কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে নির্বাচনী আদালতের মামলা করতে পারেন।