ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের পানেরছড়া ঢালায় অপহৃত শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল্লাহ মুক্তিপণে মুক্ত হয়েছেন বলে জানান তার পরিবার। ৯ মার্চ রাত ১১টায় ঈদগাঁওর মেহেরঘোনা এলাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তার চাচার মতে, ঈদগাঁও মেহেরঘোনা গ্রামের পুর্ব পাশ্বে জঙ্গলের ভিতর অপহরণকারীদের কথামত এক জায়গায় নগদ ৩০ হাজার টাকা রেখে দেওয়ার ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট পর অপহৃত মোঃ আব্দুল্লাহ কে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপহৃত মোঃ আব্দুল্লাহকে শারীরিক নির্যাতনের কারনে সে খুব অসুস্থ। তাকে ঈদগাঁওর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
তার ভাইয়ের মতে, অপহরনকারীরা প্রথমে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করলেও পরে ত্রিশ হাজার টাকা মুক্তিপণে ছেড়ে দিয়েছে ভাইকে। গত মঙ্গলবার সকাল ৭টায় অটো-রিক্সা যোগে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মোঃ আব্দুল্লাহ ও তার ছোট ভাই মোঃ ওমর ফারুখ একই গ্রামের অটোরিক্সা চালক নজরুল ইসলামের গাড়ীতে করে বড় বোন ছাদিকা আকতারের এনগেজমেন্ট অনুষ্টানের বাজার করতে ঈদগাঁও যাচ্ছিল। প্রতি মধ্যে গজালিয়ার পানেরছড়া ঢালা এলাকায় গেলে উৎপেতে থাকা অপরাধীরা গাড়ী থামিয়ে আব্দুল্লাহকে অপহরণ করে গহীণ বনে নিয়ে গিয়েছিল। প্রায় ১৭ ঘন্টা অপহরণকারীদের কবল থেকে অবশেষে মুক্তিপণে মুক্ত হল ছাত্র মোঃ আব্দুল্লাহ।
উল্লেখ্য, ঈদগড়ের জনপ্রিয় শিল্পী জনি ও দিনমজুর মোঃ কালু ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে ডাকাতের গুলিতে নিহত হওয়ার কিছুদিন পার হতে না হতেই ফের সুসংগঠিত হয়ে সড়কে অপহরণ শুরু হয়। এ সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রী ও ঈদগড়-বাইশারীর প্রায় অধর্লক্ষাধিক অসহায় মানুষ শংকিত। এলাকাবাসী দ্রুত অভিযানের মাধ্যমে চিহ্নিত ডাকাতসহ অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের জাের দাবী জানান।
দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।