দেশের সর্ববৃহৎ মেগাপ্রকল্প পদ্মাসেতুর সঙ্গেই উদ্বোধন করা হবে ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। এর মধ্য দিয়ে মোংলা সমুদ্র বন্দর, খুলনা নদীবন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।
অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে যানবাহনের চাপ বাড়বে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।
বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া সহজ ও দূরত্ব কম হওয়ায় বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়ক এ অঞ্চলের যাত্রীদের অন্যতম পছন্দ। এছাড়া এ সড়ক বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দরের যাওয়ার একমাত্র সহজ পথ। বেকুটিয়ার অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হলে এ সড়কে চাপ বাড়বে কয়েকগুণ।
ঝালকাঠি জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে ১৪টি রুটে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার শতাধিক বাস চলাচল করে। বেকুটিয়া সেতু দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের মাঝে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করবে। এ সেতু চালু হলে এ রুটে আরো নতুন বিলাসবহুল বাস ও অন্যান্য পরিবহন চলাচল করবে।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সড়কের দুই পাশের সচেতনতামূলক সাইনগুলো সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। সেতুর ৬২টি লাইটপোস্টে এলইডি লাইট লাগানো হয়েছে। সেতুতে নতুন করে রঙ করা হয়েছে। উদ্বোধনের আগে নতুন কোনো নির্দেশনা এলে সেভাবেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।