কর কর্মকর্তা ও ৪ সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা
logo
ঢাকা, শুক্রবার, ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর কর্মকর্তা ও ৪ সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা

অনলাইন ডেস্ক
অক্টোবর ৩১, ২০২৩ ৮:২৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে সরকারের ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চার সাব-রেজিস্ট্রার ও কর পরিদর্শকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুদকের গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার। যার রেকর্ডকারী কর্মকর্তা ছিলেন সহকারী পরিচালক মো, সাইদুজ্জামান। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন, কর পরিদর্শক ও জমির মালিক আবু হাসান মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, তার স্ত্রী মিসেস লাকী রেজওয়ানা, জমির মালিক গাজীপুরের বাসিন্দা মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. রাসেল মিয়া, মো. ইব্রাহীম মৃধা, কালিয়াকৈরের সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক মো. নাছির উদ্দিন, গাজীপুরের কালিগঞ্জের সাব-রেজিস্ট্রার খোন্দকার গোলাম কবির, অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলাম, মোছা. আনোয়ারা বেগম এবং মো. মোজাহারুল ইসলাম।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয়ে চালা/নাল/বাগান/বাড়ি শ্রেণির পরিবর্তে ‘সাইল/বাইদ’ শ্রেণি দেখিয়ে জমির জাল আরএস বা নামজারি খতিয়ান ও খাজনার রশিদ তৈরি করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সর্বনিম্ন মৌজা রেটে ১৪টি দলিলের জমি রেজিস্ট্রেশন করেন। কর পরিদর্শক আবু হাসান মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, তার স্ত্রী লাকী রেজওয়ানাসহ অন্যান্য তিন মালিক সাব-রেজিস্ট্রার ও দালিল লেখকের সহায়তায় একই প্রক্রিয়ায় ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রকৃত জমির শ্রেণির পরিবর্তন করেন। এর মাধ্যমে সর্বনিম্ন মৌজা রেটে রেজিস্ট্রেশন করে সরকারের ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৮৭২ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।