কানের ব্যথায় যা করবেন, ভিনিগারে এক ধরনের অ্যাসিড থাকে, যা কানের সংক্রমণ কমাতে কাজ করে। একটি পাত্রে সমপরিমাণ ভিনিগার ও রাবিং অ্যালকোহল নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। সংক্রমিত কানে কয়েক ফোঁটা দিন।
বেশির ভাগ সময় কানে ব্যথার উৎপত্তি হয় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে। এ ছাড়া সর্দি-কাশি, জ্বর, গোসলের সময় পানি ঢুকে যাওয়া ইত্যাদির মতো নানা কারণে কানব্যথা হতে পারে। পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তবে ব্যথার পরিমাণ কম হলে ঘরেই প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া যেতে পারে।
ওয়েব এমডি ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে কানব্যথা নির্মূলের কিছু ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হয়েছে। চলুন জেনে নেই-
গরম অথবা ঠাণ্ডা সেঁক
কানে অনেক সময় পানি ঢুকে যায়, এমনকি পুঁজও হয়ে থাকে। ফলে যন্ত্রণা হয়। এ অবস্থায় করণীয় হলো, পুঁজ অথবা পানিটা বের করে নেয়া। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর উপায় গরম সেঁক। একটি নরম ও পরিষ্কার কাপড় প্রথমে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন।
পানিটা নিংড়ে ফেলে ব্যথা হওয়া কানটির ওপর চেপে ধরে রাখুন। কিছুক্ষণ ধরে রেখে অন্যদিকে কাত হয়ে পুঁজ অথবা পানিটি বের করে নিন। এতে ব্যথা কমে যাবে। অনেকের ক্ষেত্রে অবশ্য ঠান্ডা পানিতেও কাজ হয়।
ভিনিগার
ভিনিগারে এক ধরনের অ্যাসিড থাকে, যা কানের সংক্রমণ কমাতে কাজ করে। একটি পাত্রে সমপরিমাণ ভিনিগার ও রাবিং অ্যালকোহল নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। সংক্রমিত কানে কয়েক ফোঁটা দিন।
খোঁচাখুঁচি করবেন না
কানে ব্যথা হতে না হতেই অনেকের কটনবাড অথবা দেশলাই কাঠি দিয়ে খোঁচানোর প্রবণতা থাকে। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। ব্যথা অবস্থায় কোনোভাবেই কানে কোনো কিছু প্রবেশ করাবেন না।
চুইংগাম
অনেকের বিমানে উঠলে কানে ব্যথা হয়। এটি মূলত বাতাসের চাপের কারণে ঘটে থাকে। এ অবস্থায় চুইংগাম খেতে পারেন। এটি কানের মধ্যে বাতাসের চাপ কমাবে। ফলে ব্যথা হবে না।
সতর্কতা
ব্যথা হলে কান শুকনা রাখতে চেষ্টা করুন। গোসলের সময় যেন কোনোভাবেই কানের ভেতর পানি ঢুকতে না পারে। মাথা ভেজানোর আগে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখানো তুলা গুঁজে নিতে পারেন। এ ছাড়া তুলে ধরা উপায়গুলো কান ব্যথায় সাময়িক আরাম দেবে। পুরোপুরি ব্যথামুক্ত হতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।