বরগুনার তালতলীতে ৫ হাজার কৃষকের ফসলী রক্ষার আন্দোলন করার ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কালাম মৃধাসহ সন্ত্রাসীদের হামলার ৫ জন কৃষক আহত হয়। হামলাকারীদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি ও দলের নেতৃবৃন্দ ।
বুধবার(৩০জুন) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার কচুপত্রা বাজারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীবৃন্দ অংশ নেয়। কালাম মৃধা উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলার শারিখালী এলাকায় কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার কৃষকের ফসলী জমির পাশেই একটি প্রবাহমান খাল দখল করেন। পরে সেই খালের বঁাধ কেটে গত ১০ এপ্রিল গভীর রাতে মাছের ঘেরে লবন পানি প্রবেশ করায় স্থানীয় বিএনপি-জামাত নেতা নাসির মুন্সী। সেই পানিতেই তলিয়ে যায় হাজারও কৃষকদের স্বপ্ন। সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা। সাধারণ কৃষকরা নাসির মুন্সীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনসার্থে খালটি কৃষকদের জন্য অবমুক্ত করেন। এর জের ধরে গত ২৮ জুন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কালাম মৃধা (৫০), সাধরন কৃষক হানিফ খান(৬০)সহ তিন চারজনকে পিটিয়ে আহত করেন বিএনপি-জামাত নেতা নাসির মুন্সী ও বেল্লাল মু্ন্সি,ইলিয়াস মুন্সি,শাহ আলম মুন্সিসহ ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী।
মানববন্ধনে বক্তারা হামলার ঘটনার সন্ত্রাসী বিএনপি-জামাত নেতা নাসির মুন্সী ও বেল্লাল মু্ন্সি,ইলিয়াস মুন্সি,শাহ আলম মুন্সিসহ হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও কঠিন শাস্তিরু দাবি জানায়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ১ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আবু আল হাসান আবু মিয়া,৪নং ওয়ার্ড সভাপতি আঃ রহিম বিশ্বাস, ৩ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ পান্না মিয়া, ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আলমগির মুন্সি ,২নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক নিজাম বয়াতি।
এবিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন নাসির মুন্সী নামের এক ব্যক্তি প্রবাহমান খালটি দখল করে কৃষকের ভোগান্তিতে রাখে। এজন্য জনসার্থে খালটি কৃষকদের জন্য অবমুক্ত করা হয়। তিনি আরও বলেন খালটি নাসির মুন্সীর নামে কোনো ধরনের বন্দোবস্ত নেই। শুনেছি কৃষকদের উপরে হামলা হয়েছে।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন,এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত কওে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।