বোয়ালখালীতে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় কাজ করছেন একঝাঁক নবীন-প্রবীণ। ইতোমধ্যে মনোনয়ন চেয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন।
সোমবার (৮ মার্চ) উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে তাদের প্রার্থীতার কথা জানান দিয়েছেন
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম বাবুল, মো.শফিউল আলম, মনছুর আলম পাপ্পী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এমএ ঈছা, পৌর আ.লীগের আহবায়ক জহুরুল ইসলাম জহুর, উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি শফিকুল আলম, উপজেলা আ.লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিম মুরাদ ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল মান্নান রানা।
সভায় দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেছেন, ‘দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হবে। দলের ত্যাগী প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।’
মনোনয়ন প্রত্যাশী জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, ‘গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে মনোনয়ন দিলেও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে অল্প ভোটে পরাজিত হয়েছিলাম। ওই সময় দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তৃণমূলের এই নেতা জানান, দলের জন্য অনেক শ্রম রয়েছে আমার। সে বিবেচনা থেকে আওয়ামী লীগ আমাকে আবারো মনোনীত করবেন বলে শতভাগ আশাবাদী।
পৌর নির্বাচনের মেয়াদপূর্তির প্রায় দেড় বছর পর আগামী ১১ এপ্রিল ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আ.লীগের একঝাঁক নবীন-প্রবীণ মনোনয়ন প্রত্যাশা করায় সর্বত্র গুঞ্জন উঠেছে ‘কার হাতে উঠছে নৌকা প্রতীক।’ চলছে ভোটের হিসাব-নিকাশও।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রবীণ রাজনীতিবিদ নুরুল আলম বলেন, নির্বাচনে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে চমক সৃষ্টির নজির আওয়ামী লীগের রয়েছে। এবারের বোয়ালখালী পৌর নির্বাচনে চমক আসতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, আগামী ১১ এপ্রিল পৌর নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ৫২ হাজার ৮শত ৩৮জন। এরমধ্যে ২৭হাজার ১৩৫ জন পুরুষ ভোটার ও ২৫ হাজার ৭০৩জন মহিলা ভোটার। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র দাখিলের জমাদানের শেষ দিন ১৮ মার্চ, বাচাই ১৯ মার্চ ও প্রত্যাহার ২৪ মার্চ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২১ মে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে আ’লীগ নেতা রেজাউল করিম বাবুল ও আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জহুর প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে ওই নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজি আবুল কালাম আবু মেয়র নির্বাচিত হন।