রংপুরকে হারাতে কি অভিজ্ঞতা কাজে দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এমনই এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হলো মুশফিকুর রহিমের দিকে। উত্তর দিতে গিয়ে জাতীয় দলের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যেন সমালোচকদের জবাব দিতে ছাড়লেন না। কথা বললেন নিজের ফিটনেস আর দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়েও।
এবারের বিপিএলে মুশফিকদের বরিশালে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ছড়াছড়ি। অভিজ্ঞতার প্রশ্নে খানিক হালকা মেজাজেই মুশফিক বলেন, ‘কেন ভাই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তো বললেন যে, বরিশাল সবচাইতে বুড়াদের টিম। অভিজ্ঞদের নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে খেলা হয় না। তো হিয়ার উই আর।
‘আমার কাছে মনে হয় এই ধারণাটা খুবই ভুল। যেই বলুক, আপনারা বলেন বা যেকোনো… অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্য, সবসময় একটা মিক্সার থাকে যেকোনো ফরম্যাটে; টি-টোয়েন্টি বলেন, ওয়ানডে বলেন, টেস্ট বলেন। সব ফরম্যাটেই।’- যোগ করেন মুশফিক।
অবশ্য তরুণদের উত্থানের জন্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভূমিকাও বড় করে দেখছেন তিনি, ‘এটাই হচ্ছে একটা দুনিয়ার নিয়ম। নতুনরা আসবে, পুরনোরা চলে যাবে এবং তাদের সংমিশ্রণে ওই জিনিসটা তৈরি হয়ে যাবে। ওই লিগেসিটা যেন আমরা যারা আছি তারা যেন রেখে যেতে পারি এবং তারা যেন এখান থেকে বড় হয়।’
যদিও ফিটনেসের বেলায় আত্মবিশ্বাসী মুশফিকের সুর খানিক ভিন্ন।নিজের ফিটনেস নিয়ে বললেন, ‘আমার কাছে খারাপ লাগে। কারণ আপনি যদি এখনও অনেক তরুণ খেলোয়াড়দের আমার সামনে নেন, আমি অবশ্যই নিশ্চিত তারা আমার ফিটনেসের ধারেকাছেও থাকতে পারবে না। আমি এটা লিখে দিতে পারি। ফিটনেসের ক্রাইটেরিয়া কীভাবে দেবেন বয়স বা ধরেন পারফরম্যান্সে। ’
‘আমার কাছে মনে হয় বয়স ও পারফরম্যান্সের থেকে সবচেয়ে বড় হয় ফিটনেস বা পারফরম্যান্সটা কতটুকু। বয়স জাস্ট আ নাম্বার। না হলে জেমি অ্যান্ডারসনের মতো, যাক নম্বরটা হয়তো এদিক-ওদিক হবে; এরকম খেলোয়াড় খুব কম থাকতো। কিন্তু এখনও হি ইজ ডুয়িং হোয়াট হি ডাজ বেস্ট। ’-যোগ করেন মুশফিক।