বরগুনার তালতলীতে জাহানারা (৪০) নামে এক অপহরণ মামলার আসামি। মামলা থেকে বাচঁতে শ্বাশুরী, জ্যা, ভাসুর ও ননদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের লালুপাড়া গ্রামের প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ভুক্তভোগী রাজিয়া বেগম।
শনিবার (৩রা’জুন) সাংবাদিক দের কাছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, গত বছরের ২৯ অক্টোবর আমার বড় ছেলে আবুবকর সিদ্দিক বরগুনার একটি মাদ্রাসা থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের একমাস পরে আমার জ্যা জাহানারা আমার কাছে ব’লে আমার সাথে জ্বীন আছে।জ্বীন জানিয়েছে তোমার আবুবকরকে ঝালকাঠি হযরত কায়েদ সাহেব হুজুরের মাদ্রাসায় আটক রেখেছে। জ্যা এর কথামতো তাকে ও আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে আমরা ঝালকাঠি মাদ্রাসায় যাই। জ্বীনের কাছ থেকে এনে দিতে জাহানারা ২লাখ টাকা চায়। এ সময় তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দেই। টাকা পেয়ে এবার তিনি আমাকে ও আমার ছোট ছেলেকে আটকে রাখে।পরে মুঠোফোনের মাধ্যমে আমার ননদ জেসমিনকে জানাই তিনি ঝালকাঠি পুলিশের সহায়তায় আমাদের উদ্ধার করে। জাহানারা সহ আমাদের থানায় নিয়ে আসে।থানা পুলিশের সামনে জ্বীনের কথা বলে আরও টাকা চায় অপহরণ কারীরা।
এরপর রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে বরগুনা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।পরবর্তীতে সদরঘাট থানা পুলিশ আবুবকরকে উদ্ধার করে । তার মুখে শুনতে পাই ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে অপহরণ করে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে চাচাতো ভাই খলিল, এবং তার বোনাই জাকারিয়া বাল্কহেডে বেঁধে, চালায় নির্যাতন। আর অন্য দিকে জ্বীনের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে খলিলের মা। এরপর এঘটনায় ঘটনার মূল হোতা খলিল পলাতক থাকলেও জেল হাজতে যায়,জাহানারা ও জামাতা জাকারিয়া। এরপর জেল থেকে জামিনে বের হয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। এবং অপহরণ মামলা থেকে বাঁচতে স্থানীয় কিছু মানুষের পরামর্শে, তিনি একাধিক মিথ্যা ঘটনা বানিয়ে মামলা দায়ের করেন। আমরা ওদের মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি চাই।