বরগুনার তালতলীতে উপজেলায় খালের জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। খালটি উপজেলার পণ্য পরিবহণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভবন নির্মাণের কারণে খালে পণ্য পরিবহনের জন্য নৌযান চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
সোমবার (৭ সেপ্টম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, খালের মধ্যে পিলার নির্মাণের পর ঢালাইয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। একই সাথে কয়েকজন শ্রমিক ইটের গাঁথুনির কাজ করছেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা বাজারের পশ্চিম পাশে খালটির অবস্থান। এটি দখল করেছেন তালতলী সরকারি কলেজের শিক্ষক আবুল বাসার। নির্মাণ করাচ্ছেন পাকা ভবন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর বাজারের ভূমি অফিসের পাশের খালটি সরকারি খাল হিসেবে পরিচিত ছিল। এই খাল দিয়ে তালতলী বাজারসহ উপজেলার সকল ধরনের পণ্য পরিবহনের জন্য নৌযান চলাচল করে। দিন দিন অবৈধ দখলদারদের কারণে মরা খালে পরিনত হচ্ছে। এ অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে খলটিকে বাঁচানোর দাবি জানান স্থানীয়রা।
খালের জমি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ শিক্ষক মো. আবুল বাশার বলেন, ‘এই জমি আমার বাজার পেরিভেরি করা। জমির দলিল আছে, চাইলে দেখতে পারেন।
পেরিভেরি জমিতে স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারবেন কি না এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার জমিতে আমি ভবন নির্মাণ করব।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পেরিভেরি জমিতে স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারি জমিতে কোনো ধরণের স্থায়ী কিছু করার সুযোগ নেই।