তালতলীর ফকিরহাট মৎস্য অবতরন কেন্দ্রে দ্বিগুণ দামে বরফ বিক্রির অভিযোগ। বরফ কল মালিকরা বিদুৎতের লোডসেডিং এবং কম ভোল্টেজের অজুহাত দেখিয়ে কৃত্তিমভাবে বরফ সংকট দেখিয়ে বারতি দামে বরফ বিক্রি করছে। বিদুৎ বিভাগ বলছে এগুলো মিল মালিকদের মনগড়া কথা তালতলীতে বিদুৎ এর ভোল্টেজ কম থাকার সুজোগ নেই। বরফ সংকটে ঘাটে শতাধিক ট্রলার নোঙ্গর করে আছে। সমুদ্রে ইলিশ শিকারে যেতে পারছে না জেলেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনার তালতলী উপজেলার ফকিরহাট মৎস অবতরন কেন্দ্রের বরফ কল মালিকরা বিদ্যুৎতের ভোল্টেজ কম ও বিভ্রাটের অজুহাতে বরফের কৃত্তিম সংকট করে দ্বিগুন দামে বরফ বিক্রি করছে। সচরাচর প্রতিটি বরফের ক্যান ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করা হত। যা এখন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে বরফ কিনতে হচ্ছে এখানকার জেলেদের। তার উপর বরফের সংকট থাকায় শতাধিক ট্রলার নোঙ্গর করা রয়েছে জেলার ফকিরহাট মৎস অবতরন কেন্দ্রের ঘাটে। এতে অবরোধের সময় জেলেরা ২২ দিন কর্মহিন হয় অভাব অনটনে দিন পার করার পরেও ঘাটে বসে অলস সময় পার করছে শতাধিক ট্রলারের প্রায় এক হাজার পাঁচ শত জেলে।
স্থানীয় জেলে কালাম তালুকদার, শামিম,হাসেম আলীসহ একাধিক জেলে বলেন, ধার-দেনা করে সাগরে যাওয়ার জন্য ট্রলার প্রস্তুত রেখেছি। কিন্তু দুই শত টাকার বরফ পাচ শত টাকায়ও নিতে না পারায় ২দিনেও সাগরে যেতে পারিনি। ঘাটে অসংখ্য মাছধরা ট্রলার বসে আছে। এমনেতেই ২২ দিন অনেক কষ্ট কওে পরিবার নিয়ে ছিলাম। এখন বরফ না থাকায় ইলিশের ভরা মৌসুমেও সাগরে যেতে পারছিনা।
বরফের বারতি দামের বিষয় ফকিরহাটের হাওলাদার আইসপ্লানের মালিক আল আমিন বলেন,এই মৌসুমে বরফবের চাহিদা থাকে তাই একটু বেশি দামে বিক্রী করি। তিনি আরও বলেন বরফ তৈরির সঠিক সময়েই বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেশি হয়। ভোল্টেজ অনেক কম।এর কারণে বরফ উৎপাদন বিগ্ন হচ্ছে। তাই বরফ সংকটের কারনে দিতে পারছি না।
এবিষয়ে কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনের ডিজিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কোনো সুযোগ নেই। তালতলীতে আগে ভোল্টেজ কম ছিলো। তার জন্য ভোল্টেজ বেশি পাওয়ার জন্য তিনটি ভোল্টেজ মেশিন বসিয়েছি। এটা বরফমিল মালিকদের মন ঘড়া কথা।