বরগুনার তালতলীতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী।
শুক্রবার (২৪ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত আনোয়ার তুমপা’র নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার বড়বগী ইউপির শিকারী পাড়া গ্রামে ছাত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া কনে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত আনোয়ার তুমপা জানান, দশম শ্রেণির ঐ ছাত্রীর সাথে পার্শ্ববর্তী ছোটবগী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের এক যুবকের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। দুপুরে খবর পেয়ে কনের বাড়িতে বর ও বরযাত্রী উপস্থিত হওয়ার আগেই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন ইউএনও।
পরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২০১৭ এর ৮ ধারায় কনের বাবাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, পাশাপাশি কনের বাবা মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবেন না মর্মে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে মুচলেকা দেন। বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।