বরগুনার তালতলীতে রেকর্ডি জমিতে সরকারি আশ্রয়নের ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কালু সিকদারের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ফজলুল হক মাস্টার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছাতনপাড়া এলাকার কালু সিকদার একটি মুজিববর্ষের সরকারি ঘর পায়। এই ঘর উপজেলা বড়বগী মৌজায় ২৭৬ খতিয়ানের ১৮১ ও ১৮৩ দাগে নির্মাণ করা শুরু করেন। তবে স্থানীয় ভুক্তভোগী ফজলুল হক মাস্টার এই জমি তার রেকর্ডি সম্পত্তি দাবি করে বলেন, ঔ জমি আমরা ক্রয় সূত্রে রেকর্ডি মালিক হয়েছি। এরপরে কালু সিকদার ঘর বরাদ্ধের পরপরই জমিতে মাটি কাটা শুরু করলে আমার ছেলে আবুসালে বাধা দিতে আসলে তাকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে পাঠান। ঔ জমি আমাদের একটি ঘর ছিলো সেটিও কালু সিকদার পুড়িয়ে দেয়। তবে মুজিববর্ষের সরকারি ঘর খাস জমিতে নিমার্ণের কথা থাকলেও আমাদের রেকর্ডি জমিতে জোরপূর্বক উত্তোলন করেন তারা। ঘর নির্মাণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বললেও তারা কোন কথা শুনেন না। উপায় না পেয়ে আমাদের জমি ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছেও আবেদন করা হয়। তবে কোনো ফলাফল না পেয়ে আদালতে একটি মামলা করা হয় । মামলাটি চলমান রয়েছে। এরপরেও নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখেনি কালু মিয়া। জোরপূর্বক ভাবে ঘর উত্তোলনের জন্য চেষ্টা করেন বিভিন্ন সময়ে।
ভুক্তভোগী ফজলুল হক বলেন, আমাদের রেকর্ডি জমির পাশেই খাস জমি। সেখানে এই ঘর উত্তোলন করার কথা থাকলেও আমাদের রেকর্ডিও জমিতে ঘর উত্তোলন করতেছে তারা। আমাদের কোন কথাই মানেন না তারা। জোরপূর্বক ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কালু সিকদার বলেন, আমাকে সরকারি ভাবে ঘর দিয়েছেন। খাস জমিতেই আমার ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। বাকি সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের লোকজন জানেন।
বিষয়ে ইউএনও অফিসের ঘর নির্মাণের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মো. সাগর বলেন, ভূমি অফিস থেকে সরকারী সার্ভেয়ার যেভাবে জমির সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে গেছে সেই অনুযায়ী আমাদের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছ।
উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া বলেন, ঔ খানে ফজলুল হক মাস্টারের কোনো জমি নেই। সরকারি খাস জমিতেই ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওছার হোসেন কে একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরে তিনি ফোনটি রিসিভি করে মিটিংএ আছেন বলে কেটে দেয়। পরবর্তীতে তিনি আর ফোন ধরেন নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ঔ জমি যদি ফজলুল হক মাস্টারের হয়ে থাকে তাহলে তো জোর করে নেওয়া সুযোগ নেই। যেহেতু কালু সিকদার কে খাস জমিসহ সরকারি ভাবে ঘর দেওয়া হয়েছে। কোন বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে তা জানি না তবে খোজখবর নিয়ে দেখবো।