বরগুনার তালতলীতে স্বামীর জমিজমা ফেরত পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী নারী।
৯ এপ্রিল (রবিবার) বেলা ১১টায় তালতলী প্রেসক্লাবে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বথীপাড়া গ্রামের মৃত বাবুল জোমাদ্দারের স্ত্রী আয়শা বেগম এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে ৮ এপ্রিল তালতলী প্রেসক্লাবে মৃত বাবুল জোমাদ্দারের ভাই মজিবর রহমান জোমাদ্দারও সংবাদ সম্মেলন করেন।
তালতলী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আয়শা বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী বাবুল জোমাদ্দার ২০১৬ সালে তারই আপন ছোট ভাই মজিবর জোমাদ্দারের অত্যাচার, নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে বিষ পানে আত্মহত্যা করেন। তিনি বলেন, আমার দেবর মজিবর জোমাদ্দার এর ভয়ে আমার স্বামী বাবুল জোমাদ্দার সব সময়ে শংকিত থাকতো। তিনি আত্মহত্যা করার দুই দিন পূর্বে তালতলী আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে বসে মজিবর জোমাদ্দার আমার স্বামীকে জুতা দিয়ে পিটিয়েছে। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে আমার স্বামী বাবুল জোমাদ্দার আত্মহত্যা করেছেন। আমার স্বামীর মৃত্যুর পরে তার ভাগের জমিজমা আমার দেবর মজিবর জোমাদ্দার আমাদের বুঝিয়ে না দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। আমি উপায়ন্তর না পেয়ে দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে আমার বাবার বাড়ী চলে যাই। আমার স্বামীর মৃত্যুর ৭ বছর পরে আমি তালতলী এসে মজিবর জোমাদ্দারের কাছে জমি ফিরে পেতে চাইলে তিনি গালিগালাজ করেন এবং বলেন আমি বাবুল জোমাদ্দারের কাছ থেকে জমি ক্রয় করিয়া রাখিয়াছি। উক্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে থানা থেকে একাধিকবার থানায় উপস্থিতির তারিখ দিয়েও উপস্থিত হননি। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীর ভাগের জমিজমা ফিরে পেতে চাই এবং আমার স্বামীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করায় এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে মজিবর জোমাদ্দার জানান, গত ২০১৬ সালে আমার ভাই বাবুল জোমাদ্দার মারা যায়। মারা যাওয়ার আগে তার জমিজমা বিক্রি করে যায়। সেই জমি থেকে কিছু জমি আমি ক্রয় করি। এছাড়াও আমার বড় ভাইয়ের ৬৬ শতাংশ জমি অন্য মানুষের কাছে বিক্রি করে সেই টাকা মোস্তফা জোমাদ্দার ও ইলিয়াস জোমাদ্দার জোর করে নিয়ে নেয়। এরই জের ধরে মোস্তফা জোমাদ্দার ও ইলিয়াস জোমাদ্দারের সাথে আমার দীর্ঘ দিন জমিজমা সংক্রান্ত মামলা ছিল। আদালতের মাধ্যমে আমি সেই জমির রায় পাই। কিন্তু সেই রায় কৃত জমির এক একর ৩৩ শতাংশ ওরা গায়ের জোরে দখল করে করে নেয়।
তিনি আরও বলেন,আমার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর এতো বছর পরে পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) মোস্তফা জোমাদ্দার ও ইলিয়াস জোমাদ্দার আমার মৃত ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আমার জমিতে আসেন। তবুও আমার ভেতরে কোনো জমি পেলে সেটা সামাজিক ভাবে সালিশির মাধ্যমে বসে সিদ্ধান্ত করা হবে।