ধেয়ে আসছে ‘সিত্রাং’ সর্তক উপকূলবাসী
logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধেয়ে আসছে ‘সিত্রাং’ সর্তক উপকূলবাসী

অনলাইন ডেস্ক
অক্টোবর ২৩, ২০২২ ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত প্রতিনিয়ত শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে এর নাম হবে সিত্রাং। বাংলাদেশের খুলনার দক্ষিণে ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাতে এটি আছড়ে পড়তে পারে। আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত প্রতিনিয়ত শক্তি বাড়ালেও এখনও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি। তবে চলতি বছরে বর্ষা-পরবর্তী প্রথম ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া মডেলগুলো পূর্বাভাস দিয়েছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের ১৩টি দেশের আবহাওয়াবিদদের সংস্থা ‘এস্কেপ’ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। নামের ক্রম অনুযায়ী এবার ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তার নাম হবে ‘সিত্রাং’। ‘সিত্রাং’ নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া।

দেশের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আর সেই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমেই শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পরে তা আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

অন্যদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রবিবারের মধ্যে নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। মঙ্গলবারের মধ্যেই এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে পৌঁছে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হচ্ছে, ২৫ তারিখ সিত্রাং বাংলাদেশ উপকূলের তিনকোনা কোস্ট (খুলনার দক্ষিণে) এবং সন্দীপের মধ্য দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে চলেছে।

২০১৮ সালের পর অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া প্রথম ঘূর্ণিঝড় এটি। থাইল্যান্ড এই ঝড়ের নামকরণ করেছে সিত্রাং। এর আগে অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়টি ছিল তিতলি। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগরতীরের ১৩টি দেশের আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। নামের ক্রম অনুযায়ী এবার ঘূর্ণিঝড়ের নাম সিত্রাং।

শনিবার আবহাওয়ার অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

এটি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।

এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

প্রসঙ্গত, ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেতের অর্থ হলো জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে, যেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৬১ কিলোমিটার যা সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হতে পারে।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।