বরগুনার তালতলী মাছ বাজারে পায়রার একটি দুই কেজির বেশি বড় ইলিশ মাছ ৩ হাজার ১৮০ টাকায় ক্রয় করেছেন এক মাছ ব্যবসায়ী।
শনিবার সকালে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী আনোয়ার মাছটি আড়ৎদার নান্না জোমাদ্দারের এক জেলের কাছ থেকে কিনেন। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মাছটি আর বিক্রয় হয়নি। সকাল নয়টার দিকে পায়রা নদীতে তালুকদার বাড়ির আকাব্বর মাঝি নামের এক জেলের জালে ২ কেজি ৫০০গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছটি ধরা পড়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল শনিবার ভোররাতে ছোটবগী এলাকার তালুকদার কান্দা এলাকার জেলে আকাব্বর মাঝি সঙ্গীদের নিয়ে পায়রা নদীতে জাল ফেলেন।
রাতে তেমন একটা মাছ না পাওয়ায় তিনি অনেকটা হতাশ হন। রাত শেষে ভোরের দিকে জাল ফেলেন নদীতে। সকাল নয়টার কিছু আগে নদীতে জাল তুলে দেখেন, ১টি বড় ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে।
এ মৌসুমে এত বড় ইলিশ এই প্রথম ধরা পড়ে বলে জেলেদের ধারণা। এ সময় নৌকায় থাকা সবাই খুশি হয়ে দ্রুত মাছটি বিক্রি করতে নিয়ে আসেন তালতলী মাছ বাজারে। স্থানীয় নান্না জোমাদ্দারের আড়তে মাছটি নিলামে তুললে মৎস্য ব্যবসায়ী আনোয়ার সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাছটি কিনে নেন। ২ কেজি ৫০০গ্রাম ওজনের ইলিশটি তিনি কেনেন ৩ হাজার ১৮০টাকায়
মৎস্য ব্যবসায়ী আনোয়ার বলেন, ‘আমার জানামতে, এর আগে এ মৌসুমে সর্বোচ্চ ১ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ধরা পড়েছিল। ২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিগত দু-তিন বছরে আমি দেখিনি বা কিনতেও পারিনি। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাজারে পায়রা নদীর এত বড় ওজনের ইলিশ দেখে অবাক হয়ে যাই। পায়রায় এত বড় ইলিশ দেখে যে কারও লোভ লাগার কথা। তাই দেরি না করে দ্রুত মাছটি কিনে বিভিন্ন যায়গায় যোগাযোগ করতে থাকি। কয়েকজন ফোন দিয়েছে সঠিক মূল্য পেলেই মাছটি বিক্রয় করব।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসার মো.মাহাবুবুল আলম,মুঠোফোনে বলেন, ‘এ মৌসুমে কয়েকটি বড় ইলিশ ধরা পড়েছে। তবে দুই কেজি ওজনের পাওয়া যায়নি বলে জানি। আজই প্রথম জানতে পারলাম ২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কথা। তবে আমার ধারণা, এ মৌসুমে এ রকম বড় পদ্মার ইলিশ আরও পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পায়রা নদীতে বড় বড় ইলিশ পাওয়া আমাদের জন্য অনেক সুখবর বটে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল হলো এই ইলিশ।