সেই কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে পেয়েছিলেন গোল। এরপর খেলেছেন আরও তিনটি পূর্ণাঙ্গ ম্যাচ, তবে গোলের দেখা পাননি। তাই রেকর্ডের অপেক্ষাটা বাড়ছিল ক্রমেই। অবশেষে সেই গোলটা এল ঘরের মাঠে, দর্শকদের সামনে থেকে। লিওনেল মেসি ছুঁয়ে ফেললেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের আরও এক রেকর্ডকে। তার এই রেকর্ডছোঁয়া গোলে ভর করেই বলিভিয়ার বিপক্ষে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছে আর্জেন্টিনা।
মেসির রেকর্ড ছোঁয়ার দিনে শুরু থেকেই অবশ্য বলিভিয়াকে চেপে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। সাঁড়াশি আক্রমণে ৮ মিনিটে পেয়ে যেতে পারত গোলের দেখাও। কিন্তু লাওতারো মার্টিনেজের হেডার বলিভিয়া রক্ষণভাগে লেগে দিক বদলে চলে যায় বাইরে। গোলের অপেক্ষাটা খুব বেশি করতে হয়নি আর্জেন্টিনাকে। ১৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মেসির আগুনে এক শটেই গোলের দেখা পেয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা।
এই গোলের ফলেই আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি ছুঁয়ে ফেলেন ৫০ বছর আগে পেলের গড়ে দেওয়া রেকর্ড। অবসরের আগে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ৭৭ গোল করে দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলের কীর্তিটা নিজের করে নিয়েছিলেন ‘কালো মানিক’। ৫০ বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে ৭৭তম গোলটি করে তার সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে ফেললেন মেসি।
এর আগে পেলের আরও এক রেকর্ড কেড়ে নিয়েছিলেন মেসি। গেল বছরের শেষ দিকে এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের কীর্তিটা নিজের করে নিয়েছিলেন মেসি, যা এর আগে ছিল পেলের দখলে।
তবে মেসির এই রেকর্ডছোঁয়া গোলের পর আরও গোলের দেখা পেতে পারত কোচ লিওনেল স্ক্যালোনির শিষ্যরা। একবার বল জড়িয়েছিল জালেও। তবে ২৬ মিনিটে আনহেল ডি মারিয়ার ক্রস থেকে তার চেষ্টাটা বাতিল হয় অফসাইডের খড়গে।
এরপর মেসি নিজে নষ্ট করেছেন একটি সুযোগ, লাওতারোও। ফলে বিরতির আগে সেই একটা গোলেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় আলবিসেলেস্তেদের।