লক্ষ্মীপুরে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।
রোববার রাত ৯টার দিকে বাদীর আইনজীবী ইফতেখার মাহমুদ ফয়সাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলাটি ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিরাজুদ্দৌলা কুতুবী আমলে নিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মহিন সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালি গ্রামের মো. খোকন মিয়ার ছেলে। ভূক্তভোগী কিশোরী দীর্ঘ দিন ধরে মহিনের কাছে প্রাইভেট পড়ত। এক পর্যায়ে তিনি ছাত্রীর প্রেমে পড়েন। প্রস্তাব দেন প্রেমের। কিন্তু ছাত্রী রাজী না হয়ে বাবা-মায়ের কাছে নালিশ করে। এতে অভিভাবকরা মহিনের কাছে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দেয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর বাবা-মায়ের অনুপস্থিতে ছাত্রী ঘরে একা ছিল। এ সুযোগে মহিন ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুলতে বলে। তাৎক্ষণিক দরজা খুলে মহিন পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মাতব্বরা ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রভাবিত করে। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে মহিনের বাবা খোকন মামলা করতে দেয়নি।
মামলার বাদী বলেন, ঘটনার পর থেকে লোকলজ্জায় ঘর থেকে বের হতে পারছি না। আমার মেয়ে যেন একঘরে হয়ে পড়েছে। প্রথমে বিয়ের আশ্বাস দিলেও এখন তারা স্থানীয় মাতব্বর দিয়ে অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমি মহিনের কাছে মেয়ে বিয়ে দেব না। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত মহিন উদ্দিনের বাড়িতে গেলে তারা পালিয়ে যায়।