বরগুনার তালতলীর ফকিরহাট এলাকা দিয়ে পশ্চিম-দক্ষিন বঙ্গোপসাগরে ডাকাত দলের হামলায় ৫ জেলে আহত হয়েছে । এদের ভিতরে গুরুত্বর আহত জেলে হাফেজ হাওলাদার, খোকন হাওলাদার ও মোরসালিনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার(৩১ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার ফকিরহাট এলাকা দিয়ে পশ্চিম-দক্ষিন বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বরের মোহনায় ঘটনা ঘটেছে ।
জানাগেছে, বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর মোহনায় তালতলী উপজেলার হাফেজ হাওলাদার ও ইব্রাহিম মিয়া দুটি ট্রলার মাছ শিকারে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ট্রলার দুটিতে অপরিচিত কিছু ডাকাতদল হামলা চালায়। ডাকাতদলের হামলায় হাফেজ হাওলাদারসহ ৫ জেলে আহত হয়। ওই ট্রলারে থাকা তিন লক্ষ টাকার জাল ও মাছ ডাকাতদল নিয়ে যায় বলে জানান হাফেজ হাওলাদার। গুরুত্বর আহত তিন জেলে হাফেজ হাওলাদার, খোকন হাওলাদার ও মোরসালিনকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর দিকে ইব্রাহিম মিয়ার ট্রলারে থাকা ৫ জেলেসহ ট্রলারটি ডাকাতদল নিয়ে যায়। ওই ট্রলারটি ডাকাতদলরা শনিবার সকালে পাথরঘাটা উপজেলার হরিণবাড়িয়া খালে ফেলে রেখে চলে যায়। তবে ট্রলারে থাকা আড়াই লক্ষ টাকার জাল নিয়ে যায় তারা।
আহত জেলে হাফেজ হাওলাদার বলেন,দুইটি ট্রলার নিয়ে ২০-২২ জনের ডাকাতদল এসে আমার ট্রলারে হামলা চালায়। তাদের হামলায় পাঁচ জেলে আহত হয়েছে এবং এক জেলে সাগরে পড়ে নিখোজ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ট্রলারে থাকা তিন লক্ষ টাকার জাল ও মাছ নিয়ে গেছে।
ট্রলার মালিক মোঃ ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, ডাকাতরা ট্রলারে উঠে আমাদের ইঞ্জিনের কক্ষে আটকে ফেলে আলো বন্ধ করে দিয়েছে। শনিবার সকালে পাথরঘাটা উপজেলার হরিণবাড়িয়া খালে আমাদের রেখে ডাকাতদলের সদস্যরা চলে গেছে। তিনি আরো বলেন,আমার ট্রলারে থাকা আড়াই লক্ষ টাকার ও মাছ জাল নিয়ে যায়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুমন বিশ্বাস বলেন, আহত তিন জেলেকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
তালতলীর নিদ্রা-ছকিনা কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার সাজু মন্ডল বলেন, এ ঘটনার পরপর সাগরে টহল জোরদার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই ডাকাতদলদের গ্রেফতারে সক্ষম হবো।