বন্যায় তালতলী উপজেলার অনেক এলাকায় বসত বাড়িসহ টিউবওয়েল ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ডায়রিয়া ও পানি বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় উপজেলার নিদ্রারচর, খোট্টারচর, বড়অঙ্কুজানপাড়া, ছোটভাইজোড়া,তেতুলবাড়িয়া,নিশানবাড়িয়া,নলবুনিয়া বেড়িবাঁধ ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে বাড়িঘর, দোকানপাট,টিউবওয়লে প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে খাবার পনি সংঙ্কট। লবন পানিতে দেখা দিতে পারেন পানিবাহিত রোগ।
ছোট ভাইজোড়া এলাকার খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের টিউবওয়েল পানির নিচে। জমানো কিছু পানি ছিল সেটা দিয়েই চলছে। সবকিছু নিয়ে বড় বিপদে আছি।’
তেতুলবাড়িয়া গ্রামের হানিফ হাওরাদার বলেন, আপনারাতো সাংবাদিক মোগো এই কস্টের কতা একটু উফুর মহলে জানাইয়া দেতে পারেনা,যাতে মোগো এই পানির কস্ট দুর হইতে পারে। পারলে একটু হেগো কান পর্যন্ত পৌঁছে দেন।
নিশানবাড়ীয়া এলাকার বেলাল হোসেন ফারাবী বলেন, পূর্ণিমার জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রাভাবে এ এলাকার নিম্ন স্থানগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পড়েছে খাবার পানির সংস্কর। শঙ্কা রয়েছে পানিবাহিত রোগের।
সোনাকাটা ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ আল ইভান বলেন, বন্যা ও পূর্ণিমা জোয়ারের পানিতে এই এলাকা অনেক মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছিল। টিউবওয়েল পানিতে ঢুবে যাওয়াতে পড়েছে খাবার পানি সংঙ্কট।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন বলেন,যারা পানি বন্দী রয়েছে তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপদ পানির ব্যবস্থাও করা হবে।