দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনে নিয়ম অনুযায়ী ১৬টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ না করার অভিযোগ উঠেছে। ওইসব কেন্দ্রের বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বরগুনার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহা. রফিকুল ইসলামের কাছে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
লিখিত অভিযোগে নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উল্লেখ করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল প্রস্তুত ও একত্রিকরণ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসারগণ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়ালে উল্লেখিত দায়িত্বসমূহ যথাযথভাবে পালন করেননি। এছাড়া নৌকা প্রতীকের পক্ষে উপস্থিত পোলিং এজেন্টদের জোড় আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ভোট গণনায় ব্যাপক অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের মাধ্যমে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে পরাজিত করে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রমাণ হিসেবে প্রস্তুতকৃত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনায় নৌকা মার্কার প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ, স্বাক্ষরে গরমিল ও প্রিসাইডিং অফিসারের সিলবিহীন নানা অভিযোগের ১৬টি ফলাফল বিবরণী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগপত্রের সঙ্গে জমা দেন শম্ভু।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ফলাফল প্রস্তুত করায় ব্যাপক কারচুপি, অনিয়ম ও বেআইনি কার্যকলাপ পরিচালিত হয়েছে। এতে নৌকা প্রতীকের সুনিশ্চিত বিজয় কেড়ে নিয়ে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীকে অন্যায় ও বেআইনিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি দেখব। প্রিসাইডিং অফিসারগণ স্ব-স্ব ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেছেন। এগুলো তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাহী অফিসারের কাছে দাখিল করেছেন। সে অনুযায়ী আমরা রেজাল্ট ঘোষণা করেছি।
প্রার্থীর এজেন্টের স্বাক্ষর নেই এবং স্বাক্ষরে গরমিলের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি নির্বাচনী আইনে যেভাবে আছে সেভাবেই আমরা করব।