দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে চায়, তাহলে তাদের বাধা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে চায় তাহলে বাধা দেব না। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে চা খাওয়াব।
তিনি বলেন, আসুক না হেঁটে হেঁটে যতদূর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনব। কারণ আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।
তবে বোমাবাজি ও ভাঙচুর করলে বাধা দেব, উপযুক্ত জবাব পাবে। এটাই বাস্তবতা। কিন্তু গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কোনো বাধা নেই।
শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের যৌথসভায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এসময় দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভূমিহীনদের ঘর দেওয়ার কাজ বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন। আজ সারাদেশে ঘর করে দিচ্ছি। যার কিছু ছিল না, আজ তাদের জীবন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। কেউ বাদ যাবে না, সবাইকে ঘর করে দেবো।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ এখনো সচল রয়েছে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশ হিমশিম খাচ্ছে। ডলারের দাম বাড়ছে, কমছে। জ্বালানির দাম বাড়ছে। উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বাড়ছে। এমন দুর্যোগের সময়ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ এখনো সচল রয়েছে।
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় ডিসিপ্লিন এসে থাকলে, সেটা আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হয়, মানুষ ভালো থাকে। দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে আছে।’
তিনি বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, তার আদর্শ আমাদের চলার পথের পাথেয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনে সক্ষম হয়েছি। ১৯৭৫ সালের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশে সন্ত্রাস-দুর্নীতি করেছে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণকে সেবা দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেই দেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মানি লন্ডারিং চলে। যারা এসব কাজে ব্যস্ত থাকেন, তারা তো দেশের জন্য কাজ করবেন না। বিএনপি যখন ছিল তখন বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে এনেছে।
যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।