মঞ্জুরুল হাসান নাসিম। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা শেষে তিনি ব্যাংকে যোগ দেন। তবে তার স্বপ্ন ছিল বিসিএস ক্যাডার হবেন। সেভাবেই তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেন। সর্বশেষ বিসিএসে লিখিত পরীক্ষা ভালো হয়েছে তার। ভাইভা দেয়ার অপেক্ষায় ছিলেন নাসিম। এর আগেই সব শেষ হয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে গেছেন নাসিম। শনিবার জয়পুরহাটে ট্রেনের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে ১২জন নিহতের একজন নাসিম।
জানা গেছে, নাসিম পাঁচবিবি প্রেসক্লাবের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মজনুর ছেলে। তিনি দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর সোনালী ব্যাংক হাকিমপুর শাখায় প্রিন্সিপাল অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
নাসিমের পরিবারের লোকজন ও তার সহপাঠি রতন ইসলাম বলেন, সর্বশেষ বিসিএস পরীক্ষায় সে অংশ নিয়েছিল নাসিম। লিখিত পরীক্ষায় ভাল করেছে সে টিকবে শতভাগ নিশ্চিত হয়েই ঢাকা গিয়েছিল ভাইভার প্রস্ততি নেওয়ার জন্য গাইড বই কিনতে। ভাইভা বই কিনে ঢাকায় অবস্থানরত বড়ভাইয়ের সঙ্গে এবং গত বিসিএসয়ে টিকা ম্যাজিস্ট্রেট বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা করে ট্রেন যোগে বাড়ি ফিরছিল। ট্রেনে কমলাপুর স্টেশন থেকে জয়পুরহাট স্টেশনে শনিবার ভোর রাতে পৌছে। পাঁচবিবির বাগজানা ইউনিয়নের আটাপাড়া বাড়িতে আসার জন্য জয়পুরহাট থেকে ছেড়ে আসা হিলি গামী লোকাল বাস বাধন পরিবহনে পাচুমোড়ে ওঠে সে। বাসটি পৈরানাপুল রেলক্রসিং অতিক্রমের সময় পার্তবতীপুর থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই অন্য ১২ জন নিহত হন। এসময় নাসিমও মারা যান। শনিবার সন্ধ্যার সময় সাংবাদিক বাবার কবরের পাশেই নাসিমের লাশ দাফন করা হয়।