সময়ের জনপ্রিয় ইউটিউবভিত্তিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। এর প্রতিটি পর্ব নিয়েই দর্শকের আগ্রহ তুঙ্গে। বিশেষ করে তরুণরাই এই নাটকের প্রধান দর্শক। সেই দর্শকপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে প্রতিনিয়তই নিত্য নতুন চরিত্র ও অনুষঙ্গ যোগ করা হচ্ছে নাটকটিতে।
নতুন সিজনে যুক্ত হয়েছে ‘নোয়াখালীর শিমুল’ নামের একটি চরিত্র। এই চরিত্রে অভিনয় করে সাড়া ফেলেছেন শিমুল শর্মা। অভিনয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পেলেও নাটকটির নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির চিফ এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরও তিনি। তবে, অভিনেতার চেয়ে নির্মাতা পরিচয়েই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন তিনি।
শিমুল ২০১৭ সালে কাজল আরেফিন অমির সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। অমির প্রতিষ্ঠান বুম ফিল্মসের চিফ সহকারী পরিচালক হিসেবে আছেন বর্তমানে। আর অভিনয়ে নাম লিখিয়েছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ দিয়ে। এ নাটকের প্রথম সিজনে নোয়াখালীর একটি দৃশ্যের মাধ্যমে অভিনয় যাত্রা শুরু হয় তার।
তিনি বলেন, ‘অভিনেতা হবার কোনোদিনই স্বপ্ন ছিল না আমার। অনেকে অভিনেতা হবার লক্ষ্য নিয়েই এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু এ ধরনের প্ল্যান আমার কখনোই ছিল না। ছোটবেলা থেকেই আমি প্রচুর মুভি এবং নাটক দেখতাম। আমি ভাবতাম এগুলোর নির্মাতা কে, কিভাবে বানানো হলো। সেই ভাবনা থেকেই পরিচালনার প্রতি ভাললাগা শুরু। এরপর আমি ২০১৭ সালে অমি ভাইয়ের সাথে জয়েন করি।’
‘আমি কাজল আরেফিন অমি ভাইয়ের মত সফল একজন পরিচালক ও নির্মাতা হতে চাই। আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্মাতা হিসেবেই কাজ করে যেতে চাই’- যোগ করেন শিমুল।
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে শিমুল বলেন, ‘একদমই অপ্রস্তুত অবস্থায় ব্যাচেলর পয়েন্টে অভিনয় করি প্রথম। ব্যাচেলর পয়েন্টের শুরুর দিকে সেই ২০১৮ সালে নোয়াখালীতে কাবিলার ছোট ভাইয়ের চরিত্রে যাদের অংশ ছিল তাদের একজন উপস্থিত না থাকায় অমি ভাই আমাকেই ওই চরিত্রে অভিনয় করতে বলেন। আমার গলায় নোয়াখালীর টান থাকায় ওই চরিত্রের সাথে মিলে যায়। অমি ভাই আমাকে একটা লুঙ্গি ম্যানেজ করে ছাগল চুরির একটি দৃশ্যে অভিনয় করালেন।
এর এক বছর পর সিজন টু’র শেষদিকে, ৬৬ নম্বর পর্ব থেকে আবার আমার অংশ শুরু হয়। নোয়াখালী থেকে আসা কাবিলার ভাই চরিত্রের মাধ্যমে লম্বাসময় স্ক্রিনে থাকা হয়, এখন চলমান সিজন থ্রিতে বেশ বড় অংশ রয়েছে। জনপ্রিয়তাও বেড়েছে।’
একজন তরুণ হিসেবে নিজের ভবিষ্যত শোবিজে কিভাবে দেখছেন? সেই প্রশ্নের জবাবে শিমুল বলেন, ‘অভিনয় নিয়ে আমার একদমই কোনো পরিকল্পনা নেই। পরিচলনা এবং নির্মাণ নিয়েই আমার সকল কল্পনা এবং পরিকল্পনা। আমি একজন সফল নির্মাতা হতে চাই। আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে- আমি সিনেমা বানাতে চাই।’
শিমুলের ছেলেবেলা কেটেছে ফেনী সদরে। ফেনী পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা করে এখন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সিএসইতে পড়াশোনা করছেন ‘নোয়াখালীর শিমুল’।